সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে নিজের মতামত লিখেছিলেন ৷ যা অনেকেরই পছন্দ হয়নি ৷ তাই সেই কাজের জন্য ‘শাস্তি’ পেলেন রাজস্থানের এক দলিত যুবক ৷ অভিযোগ, আলওয়ার জেলার বেহরোর গোকুলপুর গ্রামের ওই যুবককে নাকখত দিতে বাধ্য করে মাতব্বররা ৷ যুবকের নাম রাজেশ মেঘওয়াল (Dalit youth forced to rub nose on temple floor in Rajasthan for criticising ‘The Kashmir Files’) ৷ প্রাইভেট ব্যাঙ্কে একজন সিনিয়র সেলস ম্যানেজার তিনি ৷
রাজেশ বলেন, ‘আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্য কাশ্মীর ফাইলস সিনেমা নিয়ে লিখেছিলাম। যখন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর অত্যাচার নিয়ে একটি ফিল্ম তৈরি হয়েছিল, তখন লোকেরা তার সমর্থনে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু দলিতদের ওপর নিত্যদিনের অত্যাচার নিয়ে তারা দলিতদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না কেন? আমার প্রশ্ন ছিল, শুধু কি কাশ্মীরি পন্ডিতরাই বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছে ? কারণ দলিত সম্প্রদায়ের মানুষরা চরম বৈষম্যের শিকার ৷ যা আপাতদৃষ্টিতে অদৃশ্য রয়ে গেছে মোদি সরকারের কাছে ৷ আমার এটাও জিজ্ঞাস্য ছিল যে, ‘জয় ভীম’ এবং ‘শুদ্র: দ্য রাইজিং’-এর মতো ছবিগুলিকে কেন করমুক্ত করা হয়নি ? আমি জয় শ্রী রাম এবং জয় শ্রী কৃষ্ণ সম্পর্কেও লিখেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আমি নাস্তিক, পূজায় বিশ্বাস করি না।’
দলিত যুবকের এমন ‘স্পর্ধা’ ভালচোখে দেখেননি গ্রামের মাতব্বররা ৷ ওই যুবককে গ্রামের মন্দিরে ডেকে মেঝেতে নাক ঘষতে বাধ্য করা হয় ৷ রাজেশ বলেন, মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করায় জন্য আমি দু’বার ক্ষমা চেয়েছি, কিন্তু গ্রামের লোকজন জোর করে মন্দিরে ডেকে আমাকে দিয়ে ক্ষমা চাওয়ায় এবং নাক খতের ভিডিয়ো তৈরি করে।
ঘটনার পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন রাজেশ মেঘওয়াল ৷ এফআইআর-এ ছয় থেকে সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তবে অনেকেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল । জানিয়েছে পুলিশ ৷ দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে ।