খিদের চোটে সমানে কাঁদছিল দু’বছরের একরত্তি কন্যাসন্তান (daughter)। কিন্তু পকেটে তখন টাকা নেই বললেই চলে। শেষে মেয়েকে খাওয়াতে না পেরে মেরেই (murder) ফেলল বাবা। ভয়াবহ এই কাণ্ডটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru)। অভিযুক্ত যুবক ইঞ্জিনিয়ার (techie) রাহুল পারমার (৪৫)-কে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।
বছর পঁয়তাল্লিশের রাহুল গুজরাতের বাসিন্দা। কিন্তু কর্মসূত্রে থাকেন বেঙ্গালুরুতে। পুলিশের কাছে তিনি দাবি করেছেন, একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন। কিন্তু সেই কাজ চলে যায়। বিটকয়েনে বিনিয়োগও করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও বিপুল ক্ষতি হয়েছিল। ফলে বাজারে প্রচুর ধারদেনা করতে হয়েছিল। রাহুল আরও দাবি করেছেন যে, দেনার পরিমাণ এতটাই ছিল যে, সোনার গয়নাও বিক্রি করতে হয়েছিল রাহুলকে। নিত্য দিন পাওনাদাররা বাড়িতে হানা দিতেন। ফলে সব মিলিয়ে দিশাহারা হয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
মেয়ে জিয়াকে স্কুলে দিতে যাওয়ার নাম করে তাকে নিয়ে গাড়িতে করে ১৫ নভেম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু সারাদিন কেটে যাওয়ার পরেও স্বামী-সন্তান না ফেরায় রাহুলের স্ত্রী ভব্য বাগালুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। কিন্তু তার পর দিনই বেঙ্গালুরু-কোলার হাইওয়ের ধারে একটি হ্রদে জিয়ার দেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন: Saddam Hussein: সাদ্দামের মতো চেহারা রাহুলের! মোদীর দাড়ি ‘টেনে’ বিজেপিকে জবাব কংগ্রেসের
জেরায় পুলিশকে রাহুল জানিয়েছেন, ১৫ নভেম্বর সকালে বেঙ্গালুরুর আশপাশে মেয়েকে গাড়িতে নিয়ে ঘোরেন। কী ভাবে আত্মহত্যা করবেন স্থির করতে পারছিলেন না। বিশেষ করে মেয়ের সামনে আত্মহত্যা করবেন, এই সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলে না। অনেকক্ষণ ধরে এভাবেই ঘুরতে থাকে দু’জন। এরপর খিদে পেতেই কাঁদতে শুরু করে বাচ্চা মেয়েটি। কিন্তু সেসময় খাওয়ানোর জন্য খুব বেশি টাকা ছিল না। উপায় না দেখে রাস্তার ধারের একটি দোকান থেকে মেয়েকে বিস্কুট কিনে দেয় ওই যুবক। আর তারপরই সিদ্ধান্ত নেয় মেয়েকে মেরে ফেলার।
মেয়েকে বুকের মধ্যে জোরে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে খুন করেন বলে দাবি রাহুলের। এর পরই মেয়েকে নিয়ে হ্রদের জলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু জল কম থাকায় বেঁচে যান। রাহুলের কথায়, “হ্রদের জলে ঝাঁপ দিয়েও যখন কিছু হয়নি, মেয়েকে ওখানে ফেলে রেখে রাস্তায় উঠি। এক ব্যক্তিকে বলি, আমাকে বাঙ্গেরপেট স্টেশনে ছেড়ে দিতে। ভেবেছিলাম ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করব। কিন্তু তা-ও সাহসে কুলোয়নি। শেষে তামিলনাড়ুগামী ট্রেনে উঠে পড়ি।” রাহুলের দাবি কতটা সত্য, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Baba Ramdev: ‘পোশাক না পরলেও মহিলাদের সুন্দর লাগে!’ নিম্নরুচির রসিকতা যোগগুরু রামদেবের