বাবা পক্ষাঘাতে পঙ্গু, বিছানা ছেড়ে ওঠার ক্ষমতা হারিয়েছেন। বিছানাতেই মল-মুত্র সবই করেন। এই অবস্থায় বাবাকে শ্বাসরোধ করে খুন করল তাঁর একমাত্র ছেলেই (Son Killed his Father)!
প্রথমে খুনের দায় পড়শির কাঁধেই চাপানোর চেষ্টা চালিয়েছিল ঘাতক। কিন্তু দুঁদে পুলিশ আধিকারিকদের জেরার মুখে শেষ পর্যন্ত নিজের অপকর্ম স্বীকার করে নিয়েছে গুণধর ছেলে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির আনন্দ পর্বত এলাকায়। পুলিশ ইতিমধ্যেই পিতৃহত্যার দায়ে ঘাতক ছেলেকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: Milk Price Hike: মধ্যবিত্তের জন্য বড় ধাক্কা, ফের দুধের দাম বাড়াল আমূল
দিল্লির (Delhi) আনন্দ প্রভাত এলাকায় থাকতেন জিতেন্দ্র শর্মা। বাড়িতে ছেলে ছাড়া কেউ ছিল না তার। বৌ বাড়ি ছেড়েছে কয়েক বছর আগে। দুর্ঘটনায় চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়ে ২০২০ থেকে বিছানা নিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। স্থানীয় সূত্রে খবর, আর্থিক অবস্থা ভাল নয়, তাই অসুস্থ বাবাকে দেখভালের জন্য আয়া রাখার কথা ভাবতেও পারত না জিতেন্দ্রর ছেলে সুমিত। শুক্রবার রাত ন’টা নাগাদ পুলিশের কাছে খবর যায় ঘরের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন জিতেন্দ্র। পুলিশ এসে জিতেন্দ্রকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তখনও কারওর সন্দেহ হয়নি এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেতেই পুলিশ জানতে পারে, জিতেন্দ্রকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জিতেন্দ্রর ছেলে ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। সন্দেহের তির যায় ছেলে সুমিতের দিকে। প্রথমে বাবার মৃত্যুর জন্য এক প্রতিবেশীকে দায়ী করে সে। যদিও পরে পুলিশের জেরায় বাবাকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় সুমিত। সুমিতের জবানবন্দিতে পুলিশ জানতে পারে, অসুস্থ বাবাকে একাই দেখাশোনা করতে হত তাকে। অসুস্থ হলেও মদের নেশা ছাড়তে পারেনি তার বাবা। রোজ তাকে মদের জোগান দিতে হত। ঘটনার দিন মদ খেয়ে বিছানায় শুয়েই প্রস্রাব করে। যা দেখে বাবার ওপর বিরক্ত হয়েই খুন করে বসে সে।
আরও পড়ুন: Madras High Court: খারিজ হয়ে গেল আপত্তি, মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি পদে ভিক্টোরিয়া গৌরী