আম আদমি পার্টি (আপ), কংগ্রেসের পরে এ বার দিল্লির বিধানসভা ভোটে প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি। শনিবার প্রথম দফায় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ২৯টিতে প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচনে এখনও অন্তত দেড়মাস বাকি। তবু বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণাকে বিলম্বিত বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, রাজধানীতে বিজেপির প্রধান দুই প্রতিপক্ষ কংগ্রেস এবং আপ, দুই শিবিরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে কেন্দ্র ধরে ধরে প্রচার শুরু করেছে।
নয়াদিল্লি আসনে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাহিব সিংহ বর্মার পুত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ প্রবেশকে। ওই আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী করেছে আর এক প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ সন্দীপকে। কালকাজি কেন্দ্রে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনার বিরুদ্ধে বিজেপির টিকিটে লড়বেন আর এক প্রাক্তন সাংসদ রমেশ বিধুরি। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী প্রাক্তন আপ বিধায়ক অলকা লাম্বা।
প্রবেশ বর্মা, আর রমেশ বিদুরির আরও পরিচয় আছে। এরা দুজনেই ঘৃণাভাষণে অভিযুক্ত। সংখ্যালঘু বিরোধী মন্তব্যের জন্য দেশজুড়ে এদের নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক হয়েছে। প্রবেশ বর্মা ২০২০-২১ দিল্লি দাঙ্গায় অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ‘গোলি মারো শালোকো…’ স্লোগান দেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
একই পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রী অতিশীর। তাঁর বিরুদ্ধে কালকাজি কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে হেভিওয়েট নেত্রী অলকা লম্বাকে। ওই কেন্দ্রেই বিজেপি আবার প্রার্থী করল সংসদে ঘৃণাভাষণ দেওয়ার অভিযোগে দুষ্ট রমেশ বিদুরীকে। ২০২৪ পর্যন্ত রমেশ দক্ষিণ দিল্লির সাংসদ ছিলেন। সংখ্যালঘু সাংসদ দানিশ আলিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য না করলে হয়তো এবারও টিকিট পেতেন। এবার ওই হেভিওয়েট নেতা লড়বেন অতিশীর বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে ফেব্রুয়ারি মাসে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা থাকলেও এখনও নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি। আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটার তালিকা সংশোধন, পরিমার্জনের কাজ চলবে সেখানে। তার পরেই ঘোষণা করা হবে ভোটের নির্ঘণ্ট। বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, ভোটের আগে মোদীকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি উদ্বোধনের সুযোগ করে দিতেই ভোট ঘোষণায় বিলম্ব করা হচ্ছে।