Delhi Flood situation worsens, water level in Yamuna surges to record 208.48 metres

Delhi Flood: কেজরির বাড়ির এলাকাতেও ঢুকে পড়েছে বন্যার জল, বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে যমুনা নদী

ফুঁসছে যমুনা নদী। বিগত ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে যমুনা নদীর জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। যমুনা নদীর আশপাশের অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন (Delhi Flood)। পরিস্থিতি এতটাই খারাপের দিকে গেছে যে শহরেও জল ঢুকছে হু হু করে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবন সংলগ্ন এলাকাও ভাসছে যমুনা নদীর (Delhi Flood) জলে। এই জরুরি অবস্থায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে রাজধানীতে।

হরিয়ানার হাথনিকুণ্ড বাঁধ থেকে জল ছাড়ার ফলে যমুনার জলস্তর বিপদসীমা থেকে তিন মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। মঞ্জু কা টিলার সঙ্গে সংযুক্ত কাশ্মীরি গেট আইএসবিটির গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।বুধবার যমুনা নদীর জলস্তর বেড়ে হয় ২০৭.৫৫ মিটার। যা ১৯৭৮ সালের বন্যার সময় জলস্তরের রেকর্ডকেও টপকে গিয়েছে। ওই সময় যমুনার জলস্তর বেড়ে হয়েছিল ২০৭.৪৯ মিটার। তবে এই জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।

আরও পড়ুন: Sidhi Urination Case: মুখে প্রস্রাবের খেসারত সাড়ে ৬ লাখ! ড্যামেজ কন্ট্রোলে বিজেপির নাটক অব্যাহত

আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে যার মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত যমুনার জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২০৮.৪১ মিটার। রাজধানীর পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন কেজরিওয়াল। হাথনিকুণ্ড বাঁধ থেকে যথাসম্ভব কম হারে জল ছাড়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় জলশক্তিমন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়াতের কাছেও আর্জি জানানো হয়েছে, হিমাচল থেকে হরিয়ানায় জল ছাড়া কমানোর জন্য।

দিল্লিবাসীদের নিগমবোধ শ্মশানঘাটের দিকে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজধানীতে উদ্ধারকাজের জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল প্রস্তুত করা হয়েছে। যমুনার জলস্তর বাড়তে থাকায় নিচু এলাকাগুলি ছাপিয়ে শহরের ভিতরে জল ঢুকতে শুরু করেছে। মনাস্ট্রি মার্কেট, কাশ্মীরি গেট, রিং রোডে বাসিন্দাদের ঘরে জল ঢুকতে শুরু করেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কাজ চলছে। রিং রোডে বালির বস্তা ফেলে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Himachal Pradesh: বিপাশা নদী চুরমার করে দিল কুলু-মানালি জাতীয় সড়ক, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা