অঞ্জলি সিংয়ের মৃত্যুর পর তাঁর মা রেখা এবং আত্মীয়রা অভিযোগ তুলেছেন, এটা নিছক কোনও দুর্ঘটনা (Delhi Hit and Run Case:) নয়। তাঁদের মেয়েকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র দাবি করেছে, অঞ্জলির যৌনাঙ্গে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফলে এই ঘটনার সঙ্গে যৌন হেনস্থার কোনও সম্পর্ক নেই।
দিল্লির আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ কমিশনার এসপি হুডা জানান, তরুণীর গোপনাঙ্গে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। অর্থাৎ তাঁকে যৌন হেনস্তা করা হয়নি। রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, আতঙ্ক আর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরেই প্রাণ হারান অঞ্জলি। তাঁর মাথা, শিরদাঁড়া, উরু এবং পায়ের নিচের অংশে আঘাত লেগেছিল। দীর্ঘ রাস্তা ছ্যাঁচড়ানোর কারণেই এধরনের চোট পেয়েছিলেন তরুণী বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Lucknow: সন্তান না হওয়ায় রাগে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে ব্লেড চালাল স্বামী! লখনউয়ে নির্মম অত্যাচার
আট পাতার এই রিপোর্টে রয়েছে আরও তথ্য। দীর্ঘক্ষণ গাড়ির নীচে আটকে থাকার কারণে ধুলোমাটিতে মাখা ছিল অঞ্জলির সারা দেহ। জানা গিয়েছে, অঞ্জলির(Anjali Singh) মাথার ঘিলু অনুপস্থিত। এমনকি, মাথার খুলির গহ্বরও খোলা অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া শিরদাঁড়ার বেশ কয়েকটি জায়গা ভেঙে গিয়েছে বলেও খবর। শুধু তাই নয়, মৃতার দেহের পাঁজরগুলিও বুকের পিছন দিক দিয়ে উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছে বলেও উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে(Delhi Hit and Run Case)। পিঠের দিক থেকে বেরিয়ে এসেছিল ফুসফুসও বেরিয়ে ঝুলছিল। ময়নাতদন্তের এই রিপোর্টেই বোঝা যাচ্ছে কতটা ভয়াবহভাবে অঞ্জলির মৃত্যু হয়েছিল।
দিল্লিতে অঞ্জলি সিং মৃত্যুর তদন্ত দ্রুত শেষ করে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah on Delhi Accident Case)। সোমবার দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার শালিনী সিংকে এই নির্দেশ দেন তিনি। এদিন পুলিশি তদন্তে উঠে আসে আরও এক তথ্য। দুর্ঘটনার মুহূর্তে অঞ্জলি সিংয়ের(Anjali Singh) সঙ্গে ছিলেন আরও এক বান্ধবী। ঘটনার ভয়াবহতায় আতঙ্কিত ওই বান্ধবী পালিয়ে যান বলেই খবর। সোমবার সন্ধ্যায় ওই বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দিল্লি পুলিশ। সেখানেই পথ দুর্ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেন তিনি। তাঁর বয়ান রেকর্ড করেন পুলিশকর্তারা।
আরও পড়ুন: Delhi hit and run: অঞ্জলির ঘাতক গাড়িতে এক বিজেপি নেতা! প্রকাশ্যে এল পাঁচ জনের পরিচয়