ফের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হল রাজধানী দিল্লি (Delhi)। মাদকের (Drugs) নেশা ছাড়াতে পুনর্বাসন কেন্দ্রে ছিল এক যুবক। বাড়ি ফেরার পরদিনই গোটা পরিবারকে নির্মমতার সঙ্গে খুন করল সে। বাড়িতেই বাবা, মা, বোন ও ঠাকুমাকে কুপিয়ে ও গলার নলি কেটে হত্যা করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর পালানোর চেষ্টা করলেও প্রতিবেশীরা যুবককে ধরে ফেলে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দেহগুলিকে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
ধৃতের নাম কেশব। বয়স ২৫ বছর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে পরিবারের সদস্যদের গলা কেটেছেন তিনি। তার পর বার বার কুপিয়েছেন তাঁদের। পুলিশ জানিয়েছে, দীপাবলির সময় থেকে ওই যুবক বেকার। খুনের সময়ও মাদকাসক্ত ছিলেন তিনি। মৃতেরা হলেন কেশবের ঠাকুমা দিওয়ানা দেবী (৭৫), বাবা দীনেশ (৫০), মা দর্শনা, বোন ঊর্বসী (১৮)। মঙ্গলবার রাতে বাড়ির শৌচালয়ে মিলেছে অভিযুক্তের বাবা, মায়ের দেহ। অন্য একটি ঘরে পড়েছিল ঠাকুমা এবং বোনের দেহ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদকের নেশা থেকে মুক্তি পেতে পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল কেশবকে। সোমবারই রিহ্যাব সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরে। এরপর মঙ্গলবার রাতে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে তুমুল ঝামেলা বাধে তার। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদক দ্রব্য কেনার জন্য অর্থ চেয়েছিল যুবক। যা দিতে অস্বীকার করে বাড়ির লোকেরা। এর পরেই একে একে বাবা, মা, বোন ও ঠাকুমাকে ধারালো কিছু দিয়ে কুপিয়ে ও গলার নলি কেটে হত্যা করে সে।
খুনের প্রকৃত কারণ জানতে যুবককে গ্রেপ্তার করে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নেশা করতে টাকা চেয়ে না পাওয়াতেই কি গোটা পরিবারকে খুনে করেছিল সে, নাকি এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশের তদন্তকারী দলটি।
আরও পড়ুন: Ration : আরও সহজে মিলবে রেশন, পাওয়া যাবে পুষ্টিকর খাদ্য