জুম্মাবারের নমাজ পাঠ করার সময় মুসলিম ব্যক্তিদের লাথি মারার অভিযোগ উঠল দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায় এমন দৃশ্য। ইতিমধ্যেই ওই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার দিল্লির ইন্দ্রলোক এলাকার এক মসজিদের নমাজ পড়ার জন্য জড়ো হয়েছিলেন অনেকে। অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য মসজিদের মধ্যে নমাজ পড়ার জায়গা পাননি, এমন মুসলিমদের সংখ্যা নেহাত কম ছিল। তাই রাস্তার ধারে বসেই প্রার্থনা শুরু করেন তাঁরা। তার জেরেই ওই রাস্তায় বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কয়েক জন পুলিশকর্মী। তাঁরা এসেই ভিড় হটাতে শুরু করেন। অভিযোগ, সে সময়ই এক জন পুলিশ অফিসার আচমকাই প্রার্থনারত মুসলিমদের লাথি মারতে শুরু করেন। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেন কয়েকজন পথচারী। সেই ভিডিয়োই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিয়োতে দেখা যায়, একজন পুলিশ কর্মী মুসলিম ব্যক্তিদের নমাজ পাঠরত অবস্থাতেই লাথি মারছেন। হাঁটু মুড়ে আল্লাহর উদ্দেশে প্রার্থনার সময় পরের পর লাথি মারা হয় তাঁদের। এই ঘটনার জানাজানি হতেই চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ কর্মীদের আচরণের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ ইমরান প্রতাপগর্হী এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। তিনি লেখেন, ‘দিল্লি পুলিশের এই কর্মী নমাজ পাঠরত অবস্থায় একজন মুসলিম ব্যক্তিকে পরের পর লাথি মারছেন। মনুষ্যত্ব কি হারিয়ে গিয়েছে? এই পুলিশ কর্মীর মনে কীসের এত ঘৃনা? এই কর্মীর বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশকে অভিযোগ দায়ের করার আর্জি জানাচ্ছি। উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। প্রয়োজনে তাকে পদ থেকে সাসপেন্ড করা উচিত।’
তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয় দিল্লি পুলিশের ওই কর্মীর বিরুদ্ধে। উত্তর দিল্লির ডেপুটি কমিশনার এম কে মীনা বলেন, ‘ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত কর্মীকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদেক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে।’ ঘটনা ঘিরে দিল্লির সংশ্লিষ্ট এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সকলকে শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
नमाज़ पढ़ते हुए व्यक्ति को लात मारता हुआ ये @DelhiPolice का जवान शायद इंसानियत के बुनियादी उसूल नहीं समझता, ये कौन सी नफ़रत है जो इस जवान के दिल में भरी है, दिल्ली पुलिस से अनुरोध है कि इस जवान के खिलाफ़ उचित धाराओं में मुक़दमा दर्ज करिये और इसकी सेवा समाप्त करिये। pic.twitter.com/SjFygbQ5Ur
— Imran Pratapgarhi (@ShayarImran) March 8, 2024