গুরমিত রাম রহিমকে জেড প্লাস নিরাপত্তা দিল হরিয়ানা সরকার (Godman Ram Rahim gets Z plus security by Hariana Government) ৷ খালিস্তানপন্থীরা তাকে খুন করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে (Ram Rahim is under threat from Khalistani terrorists) ৷ তার ভিত্তিতেই তাকে এই নিরাপত্তা দেওয়া হল ৷ ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধান রাম রহিম যৌন হেনস্তা ও খুনে সাজাপ্রাপ্ত (Ram Rahim Convicted in Sexual Abuse and Murder Case) ৷ আপাতত ২১ দিনের জন্য জেলের বাইরে রয়েছে সে (Ram Rahim was granted a 21 day furlough by the Haryana Jail Administration) ৷
কিন্তু কেন এই সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুরক্ষা? জানা যাচ্ছে, প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে রাম রহিমের। খলিস্তানপন্থীদের পরিকল্পনা রয়েছে তার উপরে হামলার। আর সেই কারণেই তাকে এই বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হল। প্রসঙ্গত, এদেশে এক্স, ওয়াই, ওয়াই প্লাস, জেড ও জেড প্লাস এই ক্যাটাগরির সুরক্ষা দেওয়া হয়। এর মধ্যে জেড প্লাস সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুরক্ষা। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের এই সুরক্ষা দেওয়া হয়। তবে এছাড়াও এসপিজি পর্যায়ের সুরক্ষা (স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ) দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে।
৫৪ বছরের রাম রহিম ২০১৭ সালে দোষী সাব্যস্ত হয় পঞ্চকুলার বিশেষ সিবিআই আদালতে। প্রথমে ২০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেও পরে প্রাক্তন সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতি হত্যা মামলা এবং দুই অনুগামী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে রাম রহিমকে যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছে আদালত। গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্যারোলে মুক্তি পায় রাম রহিম। তখন থেকেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, পাঞ্জাবের ভোটে তাকে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি। ৷ রাম রহিম গুরুগ্রামে নিজের বাড়িতে থাকলেও পঞ্জাবের ভোটে অশান্তি ছড়ানোর জন্য তাকে অন্তর্বর্তী ভাবে জেলের বাইরে থাকতে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ আগামিকাল আদালতে ওই মামলার শুনানি হবে ৷
উল্লেখ করা প্রয়োজন, ২০১৭ সালে যখন সুনারিয়া জেলে মামলার রায়ের আগে নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ তখন ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল ৷ রাম রহিমের ভক্তদের তাণ্ডবে রোহতাকে কার্যত রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ৷ পরে হেলিকপ্টারে তাকে রোহতাক জেলে নিয়ে আসা হয় ৷ সেখানেই আদালত বসিয়ে তার সাজা ঘোষণা করা হয় ৷