মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। উদ্ধব ঠাকরের পদত্যাগের পর রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সরকার গঠন প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে। ১ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। তবে এই বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। দেবেন্দ্র ফড়নবীশ মুখ্যমন্ত্রী হলে তৃতীয়বার তিনি এই পদে বসবেন।
বৃহস্পতিবারই দুপুর ৩টে নাগাদ মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করতে পারেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। রাজ্যপালের কাছে প্রায় ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন দেখিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানাতে ফড়নবীশ। তাঁর সঙ্গে থাকতে পারেন একনাথ শিন্ডেও। কারণ, ইতিমধ্যেই তিনি গোয়ার হোটেলে সহযোদ্ধাদের রেখে একা মুম্বই ফিরেছেন।
জানা গিয়েছে, উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন একনাথ শিন্ডে। বাকি সব বিদ্রোহী বিধায়ককেই মন্ত্রী পদ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বিজেপি-র কে কোন দফতরের মন্ত্রী হবেন, এই নিয়ে এখনও কোনও কথা হয়নি। নানা গুজব ছড়াচ্ছে। এমনই দাবি করলেন একনাথ শিন্ডে।
আরও পড়ুন: Maharashtra : বিদ্রোহীদের ‘ঘর ওয়াপসি’র ডাক উদ্ধবের! ৩০ জুন অনাস্থা আনছে প্রহার পার্টি
২৮৮ সদস্য বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপিই একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। বিজেপির একার বিধায়ক রয়েছেন ১০৬ জন। উদ্ধব ঠাকরে, যাঁকে পিছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে বলে দাবি করেছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত, সেই উদ্ধবের পতনের পর ফড়নবীশই সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা। সেই হিসেবে তিনি সরকার গঠনের দাবি জানাতেই পারেন। এবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য তখতে বসবেন ফড়নবীশ। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী ২০১৪ সালে এবং দ্বিতীয়বার ২০১৯ সালে মাত্র তিনদিনের জন্য।
শিবসেনা মুখপাত্র তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউত শিন্ডে গোষ্ঠীকে পিছন থেকে ছুরি মারার অভিযোগ তুললেও বিদ্রোহীদের বিধায়ক দীপক কেসরকর বলেছেন, ‘উদ্ধবজির বিরুদ্ধে কিংবা শিবসেনা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আমাদের কোনও ক্ষোভ নেই। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হইনি। এটা নীতি-আদর্শের প্রশ্ন। আমরা সেই পথে লড়াই করি। এখনও উদ্ধবজির প্রতি আমাদের ভালোবাসা রয়েছে। আমাদের পিছন থেকেই লড়াই করতে হয়েছে, কারণ এ লড়াই ছিল কংগ্রেস এবং পাওয়ারের বিরুদ্ধে।’
আরও পড়ুন: Lakhimpur: চার যুবকের সঙ্গে দিদির সম্পর্ক, জেনে ফেলতেই বোনকে গণধর্ষণ করিয়ে খুন