দেশজুড়ে ভয়াবহভাবে বেড়েছে নয়া সাইবার প্রতারণা – ডিজিটাল অ্যারেস্ট। খোদ নরেন্দ্র মোদী এই ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশের পর এবার ময়দানে নামল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ডিজিটাল অ্যারেস্টের বিরুদ্ধে দ্রুত কড়া পদক্ষেপ নিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করল শাহের মন্ত্রক। এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে নয়া এই কমিটি।
জানা যাচ্ছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ই নতুন কমিটি পরিচালনা করবেন।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব নতুন কমিটির মাথায় থাকবেন। ইতিমধ্যে দেশের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো অর্ডিনেশন সেন্টার।
সাম্প্রতিক সময়ে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ যে ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে পুলিশ ও তদন্তকারী আধিকারিকদের কপালে। কেন্দ্রীয় সরকারের সাইবার অপরাধ নথিভুক্তির পোর্টাল (এনসিআরপি)-র তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ৭ লাখ ৪০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। ২০২৩ সালে গোটা বছরে অভিযোগ জমা হয়েছিল সাড়ে ১৫ লাখের কিছু বেশি। ২০২২ সালে অভিযোগ জমা পড়েছিল সাড়ে ৯ লাখের কিছু বেশি। ২০২১ সালে তা ছিল সাড়ে ৪ লাখ। গত তিন বছরের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায়, উদ্বেগ কতটা গুরুতর।
রিপোর্ট বলছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ডিজিটাল অ্যারেস্ট সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছে।এই প্রতারণা চক্রে ব্যবহৃত হয়া ৬ লক্ষ মোবাইল নম্বর বন্ধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সাইবার প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত ৩.২৫ লক্ষ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে ফ্রিজ করা হয়েছে।
কয়েক বছর আগেও এই ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ শব্দবন্ধের সঙ্গে মানুষ পরিচিত না হলেও সাম্প্রতিক সময়ে আতঙ্কের অন্য নাম হয়ে উঠেছে এই সাইবার প্রতারণা। যেখানে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সির নাম দিয়ে ফোন করে জানানো হয় ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর পর বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণে ভিডিও কল ও গ্রেপ্তারি সংক্রান্ত তথ্য পাঠানো হয়। এর পর টাকার বিনিময়ে তাঁকে রেহাই দেওয়া হবে বলে জানায় প্রতারকরা। সম্প্রতি দেশের নানা প্রান্ত থেকে এমন বহু অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর তৎপর হল সরকার।