মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর দেহ মিলল গুলিতে খুন হওয়া মডেল দিব্যা পাহুজার। গুরুগ্রামের একটি হোটেলে খুন করা হয়েছিল তাঁকে। সেকথা জানার পরেও তাঁর দেহ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে হরিয়ানার একটি খাল থেকে উদ্ধার হয়েছে তরুণীর দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি পাঞ্জাবের ভাকরা খালে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই স্রোতে ভেসে সেটি হরিয়ানায় এসে পৌঁছেছে।
গত ২ জানুয়ারি গুরুগ্রামের একটি হোটেলে খুন হন দিব্যা। হোটেল মালিক অভিজিৎ সিং এবং তাঁর দুই কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু দিব্যার দেহ কোথায় লোপাট করা হয়েছে, তার কিনারা করতে পারছিল না গুরুগ্রাম পুলিশ। তবে ঘটনা মোড় নেয় বলরাজ গিল নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হওয়ার পর। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তিকে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকেই দিব্যার দেহ লোপাটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে জেরায় জানতে পারে পুলিশ। তার পর তাঁকে আরও জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন গুরুগ্রাম থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে পঞ্জাবের পাটিয়ালার একটি খালে ফেলে দিয়ে এসেছেন দিব্যার দেহ।
সেই তথ্য জানতে পারার পর পুলিশের একটি দল পাটিয়ালার ওই খালে তল্লাশি চালায়। তল্লাশিতে ছিল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২৫ জনের একটি দলও। পুলিশ জানিয়েছে, পটীয়লা থেকে থেকে খনৌরি সীমানা পর্যন্ত তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু দিব্যার দেহের হদিস মেলেনি। অবশেষে শনিবার হরিয়ানার টোহনা খাল থেকে দিব্যার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর শরীরে থাকা ট্যাটুর ভিত্তিতেই শনাক্ত করা হয়েছে দেহটি। তারা দিব্যার পরিবারের কাছে ছবি পাঠিয়েছিল, যার ভিত্তিতে তারা দেহটি শনাক্ত করেছে। সেটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
দিব্যা পাহুজাকে নতুন বছরের প্রথম দিন গুরুগ্রামের একটি হোটেলে খুন করা হয়েছিল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, খুনিরা তার দেহটি হোটেল থেকে একটি গাড়িতে টেনে তুলছে। ২৭ বছরের দিব্যাকে পাঁচজন লোক হোটেলের ওই ঘরে নিয়ে গিয়েছিল। ওই মডেল হোটেল মালিককে অশ্লীল ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করছিল বলে জানা গেছে। সেই জন্যেই লোক লাগিয়ে তাঁকে খুন করা হয়।
২০১৬ সালে তার তৎকালীন প্রেমিক এবং গুরুগ্রামের গ্যাংস্টার সন্দীপ গাদোলির মিথ্যে এনকাউন্টারে জড়িত থাকার অভিযোগে দিব্যা পাহুজাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ৭ বছর জেলে থাকার পর গত বছরের জুনে তিনি জামিনে মুক্তি পান।