লোকসভা ভোটের আগে আরও একটি ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা করবেন, বেশ কয়েকদিন আগেই তা ঘোষণা করেছিলেন রাহুল গান্ধি। জানিয়েছিলেন, এবার আর কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী নয়, এবার তাঁর পরিকল্পনা মুম্বই থেকে মেঘালয়। কিন্তু লোকসভা ভোটের আর বেশি দেরি নেই। সম্ভবত আর ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা হবে না। তাই এবার অভিনব কায়দায় পদক্ষেপ করতে চাইছে কংগ্রেস। তা হল, ‘ডোনেট ফর দেশ’ (‘Donate for Desh’) বা ‘দেশের জন্য দাও। অনেকেই মনে করছেন, এই কর্মসূচীর মাধ্যমে দেশজুড়ে অর্থ সংগ্রহ করে দলের অর্থকষ্টটা কিছুটা লাঘব করতে চাইছে জাতীয় দল।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ‘ডোনেট ফর দেশ’ (Donate For Desh) নামের নতুন এক কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে কংগ্রেস। শনিবার দলের কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন (Ajay Maken) এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেস সাধারণ দেশবাসীর কাছে যাবে। এবং বলবে দেশের জন্য দান করুন। আগামী ২৮ ডিসেম্বর ১৩৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস কংগ্রেসের। সেই কারণে ন্যূনতম চাঁদা ধার্য করা হয়েছে ১৩৮ টাকা।
অজয় মাকেন জানিয়েছেন, মহাত্মা গান্ধীর তিলক স্বরাজ তহবিলের অনুপ্রেরণায় এই কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। ১৯২১-এ বাল গঙ্গাধর তিলকের প্রথম মৃত্যবার্ষিকীতে মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) এক কোটি টাকা সংগ্রহের অভিযান শুরু করেছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের খরচ জোগাতে ওই অর্থ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়। তেমনি কংগ্রেসও যাতে দেশের জন্য ভালোভাবে কাজ করতে পারে, সেজন্য সাধারণ নাগরিকদের কাছে হাত পাতা হবে। এই ধরনের আরও একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তার মধ্যে এটা অন্যতম। মূলত সম্পন্ন পরিবারের কাছে এই চাঁদা নেবে হাত শিবির। ১৩৮ টাকা, ১৩৮০ টাকা, ১৩৮০০ টাকা, ইত্যাদি চাঁদার রশিদ থাকবে।
প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলিকে বলা হয়েছে, বেশি পরিমাণ চাঁদার জন্য সম্পন্ন লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। সামনেই লোকসভা ভোট। ভোটের খরচ জোগাতে বিপুল টাকা দরকার। কংগ্রেসের বক্তব্য, ইলেকটোরাল বন্ড চালুর পর থেকেই দলের রোজগার কমতে শুরু করেছে। বন্ড বাবদ অর্থের অর্ধেকের বেশি টাকা পাচ্ছে বিজেপি।
গত বছর এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে কংগ্রেসের আয় কম ছিল। তৃণমূল ক্রাউন্ড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে তুলেছিল ৩২৭ কোটি টাকা। আর কংগ্রেস ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে ২৩৬ কোটি টাকা চাঁদা পেয়েছিল। তুলনায় বিজেপি বন্ডের মাধ্যমে পেয়েছিল ১০৩৩ কোটি টাকা।