ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে সোমবার শপথ নিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। সংসদের সেন্ট্রাল হলে আজ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন ভারতের কনিষ্ঠতম রাষ্ট্রপতি । সংসদের সেন্ট্রাল হলে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা (NV Ramana)। প্রথম আদিবাসী হিসাবে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিকের আসনে বসলেন দ্রৌপদী। শপথ নেওয়ার আগে এদিন সকালে রাজঘাটে গিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন নতুন রাষ্ট্রপতি। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করেন দ্রৌপদী মুর্মু।
ভাষণে দ্রৌপদী আরও বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল। আর স্বাধীনতার ৭৫ বছরে আমি রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছি। দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়া আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তি নয়। এটি ভারতের প্রতিটি দরিদ্র মানুষের প্রাপ্তি। আমার রাষ্ট্রপতি হওয়া প্রমাণ করে যে, ভারতের দরিদ্র মানুষেরা শুধু স্বপ্নই দেখেন না, সেই স্বপ্ন পূরণও করতে পারেন।’’
দেশের সেনাবাহিনীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দ্রৌপদী বলেন, ‘‘মঙ্গলবার ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস। দিনটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্বের প্রতীক। আমি কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং দেশের সকল নাগরিককে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’’
শপথপর্বে দ্রৌপদীর (Draupadi Murmu) পরনে কী ধরনের শাড়ি থাকবে, তা নিয়ে চর্চা ছিলই। তবে জল্পনা শোনা গিয়েছিল যে, রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার সময় বছর চৌষট্টির দ্রৌপদী সনাতনী সাঁওতালি শাড়িই বেছে নিতে পারেন। প্রসঙ্গত, এমনই একটি শাড়ি নিয়ে শনিবারই দিল্লি পাড়ি দিয়েছিলেন দ্রৌপদীর ভ্রাতৃজায়া সুকরি টুডু। তবে শেষ পর্যন্ত তেমনটা হয়নি।
সুকরি জানিয়েছিলেন, ‘‘দিদির জন্য আমি সাঁওতালদের ঐতিহ্যবাহী শাড়ি নিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, শপথ অনুষ্ঠানে দিদি এই শাড়িটাই পরবেন। তবে আমি জানি না, শেষ পর্যন্ত কী হবে? দিদি কোন শাড়ি পরবেন? কারণ নতুন রাষ্ট্রপতির পোশাক নিয়ে সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতি (President of India) ভবনই নেবে।’’ তবে সোমবার সকালে দেখা গেল, সাঁওতালি নয়, সাধারণ শাড়িতে শপথ নিলেন দ্রৌপদী।