মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়তে ফের একবার রেপো দাওয়াই দিল দেশের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্কিং সংস্থা RBI। এক লাফে 50 টি বেসিদ পয়েন্ট সুদ বৃদ্ধি করেছে এই সংস্থা। যার ফলে ফের একবার ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ বৃদ্ধি করতে চলেছে দেশের একাধিক ব্যাঙ্ক। বাড়বে, বাড়ি-গাড়ি সহ একাধিক ঋণের উপর সুদেফ পরিমাণও।
RBI এর ঘোষণায় মধ্যবিত্তের জন্য সামান্য স্বস্তিও রয়েছে মধ্যবিত্তের জন্য। আগামী বছরে দেশে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ বাড়লেও, দেশে কিন্তু সস্তা হতে চলেছে তেলের দামও। ভোজ্য তেলের দাম কমতে পারে এমনটা মনে করা হচ্ছে। এর আগেও ভোজ্যতেল সংস্থাগুলি কিছুটা দাম কমিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের মতে, বিশ্বব্যাপী তেলের দাম এখন অনেকটাই স্বাভাবিকের পথে। ফলে দাম সংশোধন করে আরও কমানোর সুযোগ রয়েছে। এমনটাই বললেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্রীয় আধিকারিক।
আরও পড়ুন: Bank Holidays: স্বাধীনতা দিবস, রাখি, জন্মাষ্টমী; অগস্টে ১৮ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক!
ভারতে রান্নার তেলের দুই-তৃতীয়াংশ বিদেশ থেকেই আমদানি করা হয়। এদিকে সাম্প্রতিক কয়েক মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব, ইন্দোনেশিয়ার পাম তেল রপ্তানিতে সংক্ষিপ্ত নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি কারণে হু-হু করে দাম বেড়েছে। আর তার ফলে বেশি দামে তেল আমদানি করেছে সংস্থাগুলি। ফলে লাভ বজায় রাখতে দাম বাড়িয়েছিলেন তাঁরা।
ভারত পাম তেল আমদানির জন্য ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার উপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে সূর্যমুখী তেল এবং সয়াবিন তেল আসে ইউক্রেন, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং রাশিয়া থেকে। ভারতের বার্ষিক ভোজ্যতেল আমদানির পরিমাণ প্রায় ১.৩ কোটি টন।
গত মে মাস থেকে তেল সংস্থাগুলির সঙ্গে মোট ৩টি বৈঠক করেছে কেন্দ্র। গত ৬ জুলাই সরকার ঠিক একইরকম এক পর্যালোচনা করে। সেবারেও তেল সংস্থাগুলিকে দাম কমাতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: Congress Protest: মিছিল নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন যাওয়ার পথে আটক রাহুল, রাস্তায় বসে প্রতিবাদ প্রিয়াঙ্কার