বিদ্যুৎ সংকট কাটাতে নয়া পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের। বদলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিলের নিয়ম। এখন থেকে দিন ও রাতের জন্য বিদ্যুতের মাশুল হবে ভিন্ন। দিনে ব্যবহার করা বিলে (Power tariffs) ছাড় মিলবে অতিরিক্ত প্রায় ২০ শতাংশ। ঠিক উলটোটা হবে রাতে। অর্থাৎ সূর্যাস্তের পর ব্যবহার হওয়া বিদ্যুতের জন্য গুনতে হবে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ টাকা।
সরকারের বক্তব্য, চলতি গ্রীষ্মে যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাতে স্বস্তির খোঁজে সন্ধ্যায় বাড়ছে এসি, কুলারের ব্যবহার। ফলে বিদ্যুৎ গ্রিডগুলির উপর বাড়ছে চাপ। অতিরিক্ত চাপ টানতে না পেরে আকছারই হচ্ছে লোডশেডিং। এই বাঁধনহারা বিদ্যুৎ ব্যবহারে লাগাম টানতেই এই সিদ্ধান্ত।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরকে সিং একটি বিবৃতি জারি করে বলেন, “যেহেতু সৌর বিদ্য়ুৎ বা সোলার পাওয়ার সস্তা, তাই দিনের বেলয়, যে সময়ে সূর্যালোক থাকে, সেই সময় বিদ্যুতের মাশুল কম থাকবে। এতে গ্রাহকরাই উপকৃত হবে। নন-সোলার আওয়ার অর্থাৎ রাতে গ্যাস থেকে তৈরি বিদ্য়ুৎ ছাড়াও তাপবিদ্যুৎ ও জলবিদ্যু ব্যবহার করা হবে। এই বিদ্য়ুতের খরচ সৌরশক্তির তুলনায় বেশি। তাই রাতের মাশুলেও এর প্রভাব পড়বে। সেই সময়ে বিদ্য়ুৎ খরচের জন্য় অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হবে।”
২০৩০ সালের মধ্য়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে, মোট শক্তির ৬৫ শতাংশই অ-জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উৎপাদন এবং ২০৭০ সালের মধ্যে ‘শূন্য নির্গমন’ বা ‘জিরো এমিশনে’র যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে, তা পূরণ করতে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত বিশেষ সাহায্য করবে।
আপাতত আগামী বছরের এপ্রিল থেকে বাণিজ্যিক গ্রাহক ও শিল্পাঞ্চলগুলিতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে এই নিয়ম। পরের বছর কৃষিক্ষেত্র ছাড়া গোটা দেশ চলে আসবে এর আওতায়। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বর্তমান সময়ে দিনের বেলায় বাড়ির বেশিরভাগ সদস্যই থাকেন অফিস-কাছারি বা স্কুল-কলেজে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাড়িতে থাকেন বয়স্করা। যাঁরা খুব একটা এসি ব্যবহার করেন না। সে ক্ষেত্রে এমনিতেই বিদ্যুতের ব্যবহার হয় অনেক কম। বেলাশেষে বাড়ি ফিরে একটু স্বস্তির খোঁজে এসির হাওয়া খোঁজে দেশবাসী। সেই সময় গুনতে হবে অতিরিক্ত টাকা।