EWS: SC rejects review of verdict upholding EWS quota

EWS: গরিবদের জন্য শিক্ষা-চাকরিতে সংরক্ষণ বৈধ! রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

সংবিধানের ১০৩ তম সংশোধনীর মাধ্যমে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীকে ১০% সংরক্ষণ প্রদান করা হয়। এর বৈধতায় সায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে জমা পড়েছিল রিভিউ পিটিশন। তবে সেই আর্জি প্রত্যাখান করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী, এস রবীন্দ্র ভাট, বেলা এম ত্রিবেদী এবং জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ জানিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বরের রায়ে কোনও ত্রুটি ছিল না।

আদালত তার রায়ে জানিয়েছে, রিভিউ পিটিশনগুলি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে, কোনও ত্রুটি স্পষ্ট নয়। সুপ্রিম কোর্টের বিধি ২০১৩-র আদেশ XLVII-এর ১ নম্বর বিধির অধীনে পর্যালোচনার জন্য কোনও পরিসর নেই। সেই কারণে রিভিউ পিটিশন খারিজ করা হয়েছে।আদালত রিভিউ পিটিশনের ওপেন কোর্ট শুনানির আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে।

গত বছর ৭ নভেম্বর, EWS সংরক্ষণের সাংবিধানিক বৈধতার পক্ষে সায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের এক সাংবিধানিক বেঞ্চ। ভারতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এবং বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী, এস রবীন্দ্র ভাট, বেলা এম ত্রিবেদী এবং জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ এই রায় দেয়।

সংরক্ষণের বাইরে থাকা সাধারণ শ্রেণির একটা বিরাট অংশই আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও সরকারি চাকরি বা শিক্ষাক্ষেত্রে কোনও সুযোগ পাচ্ছেন না। তাই এ ধরনের মানুষদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণের আওতায় যাতে নিয়ে আসা যায় তার জন্য ১০৩-তম সংবিধান সংশোধনের ভাবনাচিন্তা হয়। তারই বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় শীর্ষ আদালতে। ওই সময় প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত এবং বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট ইডব্লিউএস-এর বিরুদ্ধে রায় দেন, যেখানে বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী, বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা পক্ষে রায় দিয়ে ছিলেন।