Facing hate FIRs, Narsinghanand held in Haridwar

Haridwar Hate Speeches: মুসলিমদের গণহত্যার ডাক, গভীর রাতে গ্রেফতার যতি নরসিংহানন্দ

গতমাসে হরিদ্বারে ধর্ম সংসদের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই সংখ্যালঘু মুসলমানদের নিশানা করে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় ধর্ম সংসদের অন্যতম আয়োজন যাতি নরসিংহানন্দকে গ্রেফতার করল উত্তরাখণ্ড পুলিশ। এই নিয়ে হরিদ্বারে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল ২। এর আগে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওয়াসিম রিজভি ওরফে জিতেন্দ্র ত্যাগীকে।

গাজিয়াবাদে দসনা মন্দিরের পুরোহিত যতি নরসিংহানন্দ গিরি। তাঁর উদ্যোগেই গত ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর হরিদ্বারে ধর্ম সংসদের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মুসলিম সম্প্রদায় এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এমন কিছু মন্তব্য করা হয়েছিল যা নিয়ে ঝড় উঠেছিল দেশজুড়ে। তারপর থেকেই নরসংহানন্দের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবি উঠে আসছিল। বহু প্রাক্তন সেনা আধিকারিক এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিকে চিঠিও লিখেছিলেন।  কিন্তু তারপরেও পুলিশ ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। গত ১২ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ড সরকারকে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট৷ আদালতের তরফে ১০ দিনের মধ্যে উত্তরাখণ্ডের জবাব তলব করা হয়৷ তার পরই তৎপর হয় উত্তরাখণ্ড পুলিশ।

জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে হরিদ্বারে নরসিংহানন্দের ধর্নাস্থলে পৌঁছায় উত্তরাখণ্ড পুলিশ। সেখান থেকেই তাঁকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ৷ হরিদ্বার শহরের এসপি স্বতন্ত্র কুমার নিশ্চিত করে জানান যে নরসিংহানন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২-৩টি মামলা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: নাম পালটে হল ‘ইলন মাস্ক’! সাতসকালে হ্যাক কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের টুইটার

বিতর্কিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু রক্ষা সেনার প্রবোধানন্দ গিরি, বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী উদিতা ত্যাগী এবং বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়। একটি ক্লিপে দেখা যায় প্রবোধানন্দ গিরি বলছেন, “মায়ানমারের মতো আমাদের পুলিশ, সেনা, রাজনীতিবিদ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সমস্ত মানুষকে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে হবে। এবার ‘সাফাই অভিযান’ চালাতে হবে।” অন্য একটি ক্লিপে পূজা শাকুন পান্ডে নামের এক বক্তা বলেন, “যদি ওদের সমূলে ধ্বংস করতে চান, তাহলে ওদের হত্যা করুন। আমরা এমন ১০০ জন যোদ্ধাকে চাই, যারা ওদের ২০ লাখ লোককে হত্যা করবে।” আরও একটি ক্লিপে স্বামী ধরমদাস মহারাজ বলেন, সুযোগ পেলে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে হত্যা করতেন। তাঁর কথায়, “যদি আমি সেদিন সংসদে উপস্থিত থাকতাম, যেদিন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন, জাতীয় সম্পদের উপর সংখ্যালঘুদের প্রথম অধিকার, আমি নাথুরাম গডসেকে অনুসরণ করতাম। একটি রিভলবার দিয়ে ওঁকে ছ’বার বুকে গুলি করতাম।”

তবে সংসদ ঘিরে যাঁকে নিয়ে এত বিতর্ক সেই যতি নরসিংহনন্দ জানিয়েছিলেন, তিনদিনের সংসদের মূল আলোচ্য ছিল ২০২৯-এ দেশের মুসলিম প্রধানমন্ত্রী। এটা কোনও ভিত্তিহীন ভাবনা নয়। যতি নরসিংহনন্দ বলেন, “আমাদের আশপাশের পরিবেশ দেখলেই বুঝবেন, কীভাবে হিন্দু কমছে আর মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে। গত দুই দশক ধরেই আমি এই কথা বোঝানোর চেষ্টা করছি।” সেই যতি নরসিংহানন্দকেই এবার গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত।

আরও পড়ুন: UP Elections 2022: কং প্রার্থী প্রাক্তন ‘মিস বিকিনি’ অর্চনা, ভোটে দাঁড়াতেই ভাইরাল টু পিস্ পরিহিত ছবি