শম্ভূ সীমান্তে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলেন আন্দোলনরত এক কৃষক(Farmer)। বিষয়টি জানতে পেরে সতীর্থেরা দ্রুত তাঁকে পটিয়ালার রাজেন্দ্র হাসপাতালে(Patiala hospital) নিয়ে যান। দুপুরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বরই শম্ভূ সীমান্তে আত্মহত্যা করেছিলেন এক কৃষক। ওই ঘটনার তিন সপ্তাহের মধ্যেই ফের সেখানে কৃষক-আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কৃষক পঞ্জাবের তরন তারন জেলার পাহুবিন্দের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি আন্দোলনরত সতীর্থদের সঙ্গে বসেছিলেন। তখনই আচমকা বিষ খেয়ে নেন ৫৫ বছরের ওই প্রৌঢ়। আন্দোলনকারী আর এক কৃষক তেজভীর সিংহের অভিযোগ, কেন্দ্রের উপর ক্ষোভ থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই কৃষক। কৃষক নেতা তেজবীর সিং বলেন, দীর্ঘ বিক্ষোভ সত্ত্বেও কৃষকদের সমস্যা সমাধান না করায় কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ওই কৃষক নেতা । “কেএমএম এবং সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (অরাজনৈতিক) উভয়ই আত্মহত্যায় প্ররোচনার জন্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের দাবি জানিয়েছে। ” একই সঙ্গে নিহতের পরিবারের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।
১৮ ডিসেম্বর লুধিয়ানার আরেক কৃষক শম্ভূ সীমান্তে আত্মহত্যা করেছিলেন। কৃষক নেতা জগজিৎ সিং ডালেওয়াল, ৭০, এর স্বাস্থ্যের অবনতি দেখে তিনি মর্মাহত ছিলেন, যিনি ২৬ নভেম্বর থেকে খানৌরি সীমান্তে আমরণ অনশন করছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দিল্লি অভিমুখে তাদের পদযাত্রা নিরাপত্তা বাহিনী বাধা দেওয়ার পর থেকে, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (অরাজনৈতিক) এবং কিষাণ মজদুর মোর্চার ব্যানারে, কৃষকরা পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যবর্তী শম্ভূ এবং খানৌরি সীমান্ত পয়েন্টে শিবির স্থাপন করে লাগাতার ধর্ণা দিচ্ছেন।