আজ দিল্লির যন্তর মন্তরে কৃষক বিক্ষোভের ডাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে বিপুল সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করেছে। দিল্লি জুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। সোমবার জাতীয় রাজধানীর যন্তরমন্তরে বিক্ষোভের জন্য হাজারে হাজারে কৃষকরা শহরে আসতে শুরু করেছে।
যৌথ কিষাণ মোর্চা (SKM) এবং অন্যান্য কৃষক সংগঠনের পক্ষে থেকে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য’র (MSP) যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য তাদের অমীমাংসিত দাবি গুলির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে আজ দিল্লির যন্তর মন্তরে একটি ‘মহাপঞ্চায়েতের’ আয়োজন করা হয়েছে। সকাল থেকেই হাজারে হাজারে কৃষক রাজধানীতে আসতে শুরু করে। এর পরিপ্রেক্ষিপ্তে অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যে হরিয়ানা-দিল্লি সীমান্তে প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করেছে।
রবিবার থেকেই রাজধানীতে পৌঁছতে শুরু করেছেন কৃষকেরা। এদিকে কৃষকদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে দিল্লিজুড়ে। রবিবার থেকেই দিল্লি ট্রাফিক পুলিশের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সম্ভাব্য যানজট নিয়ে। অন্যদিকে সিঙ্ঘু সীমান্তেও কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে।
সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ১০টা থেকে দিল্লির যন্তরমন্তরে মহাপঞ্চায়েত শুরু হবে। প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার কৃষক আন্দোলনকারীর জমায়েত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৪০ থেকে ৫০টি কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই মহাপঞ্চায়েতে যোগ দেবেন। এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচির কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, কৃষক আন্দোলন প্রত্যাহারের সময় কেন্দ্রের তরফে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হলেও, কৃষকদের বিদ্যুতের বিল মুকুব, কৃষকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করা সহ একাধিক দাবি এখনও পূরণ করা হয়নি। সরকার যাতে দ্রুত এই প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করে, তার দাবিতেই বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। এরপরও প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে, আরও বড় আন্দোলনের পথে ফের হাঁটবে কৃষকরা, এমনটাই কৃষক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে।
৪০ থেকে ৫০টি কৃষক সংগঠন এই মহাপঞ্চায়েতে যোগ দিতে আজ রাজধানীতে আসছেন। এর পরও প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলেও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে কৃষক সংগঠনের তরফে। গতকালই আটক করা হয় কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতকে। রবিবার তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে গাজিপুর সীমান্ত দিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করতে গেলে, তাকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। মধুবিহার থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকেই কৃষক নেতা এক টুইট বার্তায় লেখেন, “এভাবে কৃষকদের কন্ঠস্বরকে অবরুদ্ধ করতে পারবে না দিল্লি পুলিশ।”