মসজিদের সামনে হনুমান চালিসা পাঠ নিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবেশ ক্রমে উত্তপ্ত হচ্ছে। পুলিশ এবং আদালতের নিষেধ সত্ত্বেও বুধবারও মুম্বইয়ের চারকপ এলাকায় মসজিদের সামনে লাউডস্পিকারে হনুমান চালিসা চালিয়ে দেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (এমএনএস) কর্মী-সমর্থকরা।
মঙ্গলবারও নিজের বাসভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এনএনএস প্রধান রাজ ঠাকরে। বুধবারের মধ্যে মসজিদগুলি থেকে লাউডস্পিকার না সরালে ওই দিন থেকেই মসজিদের সমানে হনুমান চালিসা পাঠ করা হবে লাউডস্পিকারেই। তাঁর এই হুঁশিয়ারির পরই রাজের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে মুম্বই পুলিশ। এমএনএস প্রধানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ১১৬ এবং ১১৭ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবারই মহারাষ্ট্র পুলিশের ডিজি রজনীশ শেঠ ঔরঙ্গাবাদ পুলিশ কমিশনারকে রাজের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের নির্দেশ দেন। তার পরই এমএনএস প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ।
আদালতের নির্দেশ সত্বেও মুম্বইয়ের চারকপ এলাকায় মসজিদের সামনে লাউডস্পিকারে হনুমান চালিশা বাজানোর অভিযোগ উঠেছে মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগে গোটা রাজ্যে ২৬০ জন এমএনসি সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
গত ১ মে ঔরঙ্গাবাদের এক জনসভা থেকে রাজ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, ৪ মে-র মধ্যে যদি মসজিদগুলি থেকে লাউডস্পিকার সরানো না হয়, তা হলে মসজিদগুলির সামনে হনুমান চলিশা পাঠ করা হবে। আবার সোমবার দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি আবেদন করেন, ৩ মে মঙ্গলবার ইদের (Eid) দিনে হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পাঠ করবেন না। যাতে করে ওই দিন রাজ্যে কোনওরকম অশান্তি না ছড়ায়।
ওই দিন রাজ টুইট করেন, “আগামিকাল ইদ। আমি আগেই ঔরঙ্গাবাদের সভায় বলেছিলাম, মুসলিমরা যেন তাঁদের এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান আনন্দের সঙ্গে পালন করতে পারেন। সেই কারণে দয়া করে অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে ‘আরতি’ অনুষ্ঠান করবেন না। আমরা অন্য ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিঘ্ন ঘটুক তা চাই না।” আরও বলেন, “লাউডস্পিকার বাজানো একটি সামাজিক সমস্যা, এর সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের কথা আমি টুইট করে জানাব।”