Fishermen: India and Bangladesh will exchange fishermen on Sunday who arrested both countries

Fishermen: কাল বঙ্গোপসাগরে হবে বন্দি বিনিময়! ভারতে ফিরছেন ৯৫ মৎস্যজীবী, বাংলাদেশে ৯০ জন

শনিবার সকালেই ১২ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে হলদিয়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পারাদ্বীপ থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৭৮ জনকে। বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তাঁদের তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। অন্য দিকে, বাংলাদেশে বন্দি থাকা ভারতীয় মৎস্যজীবীকে এ দেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেবে ঢাকা। বন্দি ভারতীয় মৎস্যজীবীদের অধিকাংশই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ এবং নামখানার বাসিন্দা। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের সোমবার গঙ্গাসাগরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই সময় গঙ্গাসাগরে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।

দুই দেশের মধ্যে এই বন্দি বিনিময়ের ফলে মৎস্যজীবীরা তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারবেন, যা তাদের জন্য একটি সুখবর। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার জন্য ভারত এবং বাংলাদেশের (Bangladesh) উপকূলরক্ষী বাহিনী একযোগে কাজ করবে এবং গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখবে।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং ভালো প্রতিবেশী মনোভাবের মধ্য দিয়ে ভারত এবং বাংলাদেশ একে অপরকে সাহায্য করতে সহমত হয়েছে। এই বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে মৎস্যজীবীদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে এবং তা দেশের সাধারণ জনগণের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। এ ধরনের বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া নিয়মিত হলেও, এই বার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ দীর্ঘ সময় ধরে ভারতের জলসীমা বা বাংলাদেশের জলসীমায় মৎস্যজীবীরা আটক থাকতেন। দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতি এবং সীমান্তের নিরাপত্তা বজায় রাখতে এমন বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রায় আড়াই মাস আগে বাংলাদেশের জলসীমার ভেতর ঢুকে পড়ায় কাকদ্বীপের ছয়টি ট্রলার আটক করে বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী। ওই ট্রলারগুলোতে ছিলেন ৯৫ জন মৎস্যজীবী। তাদের গ্রেফতার করা হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব লুৎফুন নাহার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, ওই ৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আটক ছয়টি ট্রলারও ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা।

কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীদের বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি জানার পরেই তাদের ভারতে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তৎপর হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরাকে ফোন করে ওই মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যেরা কেমন আছেন, সেই বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বলা হয়।

আনন্দবাজার জানায়, অন্যদিকে, ভারতে আটকে থাকা ৯০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।