প্রতি দিন গ্রামের পর গ্রাম ডুবছে। জলের তলায় চলে যাচ্ছে বসতবাড়ি থেকে চাষের জমি। অসমে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫। বন্যার জলে তলিয়ে গিয়ে আট জন নিখোঁজ বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। সব মিলিয়ে বন্যাবিধ্বস্ত প্রায় ৩১ লক্ষ মানুষ।
শনিবার অসম প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, মৃতের মধ্যে চার জন শিশুও রয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি বছরে অসমে বন্যা ও ধসে মৃত্যু হয়েছে ৬২ জনের। রাজ্যের ৩২টি জেলাই বন্যাবিধ্বস্ত। ব্রহ্মপুত্র নদের জলস্ফীতির পর ৪,২৯১টি গ্রাম ভেসে গিয়েছে। বিপুল ক্ষতির মুখে কৃষি। প্রায় ৬৬,৪৫৫ হেক্টর চাষের জমি এখন জলে ডুবে রয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সরকারের ৫১৪টি ত্রাণশিবিরে দেড় লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বজলি, বক্সা, বরপেটা, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মজুলি, নগাঁও, নলবাড়ি, শিবসাগরের মতো জায়গা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: Narendra Modi: আগামিকাল শতবর্ষে পা মা হীরাবেনের, বিশেষ উপহার দিতে আজ গুজরাটে মোদী
#WATCH Flood situation in Assam’s Chirang district remains grim with thousands of people affected
SDRF teams rescue more than 100 villagers. All the trapped people were shifted to safe places. (18.06) pic.twitter.com/IzQeAVJ0H2
— ANI (@ANI) June 19, 2022
অসমের পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে শনিবারই ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতীয় সেনা, দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা উদ্ধারকাজে নেমেছেন। চলছে ত্রাণবিলি।
মেঘালয়ের পরিস্থিতিও সাংঘাতিক উদ্বেগজনক। সেখানে বন্যার কবলে পড়েছেন ৫ লাখ মানুষ। পাহাড়ে অতিবর্ষণে ধস নেমেছে। রাজ্যের দুটি প্রধান জাতীয় সড়ক ধসে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চেরাপুঞ্জিতে শুক্রবারের বৃষ্টির পরিমাণ তৃতীয়বারের জন্য রেকর্ড গড়েছে। ১৯৯৮ সালের পর থেকে চেরাপুঞ্জিতে এত বৃষ্টি আর হয়নি।
আরও পড়ুন: Agnipath: বিজেপি অফিসে দারোয়ান হিসাবে অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকার! ভাইরাল কৈলাস-বচন