বৃহস্পতিবার থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে জি ২০-র সভাপতিত্ব (G-20 Presidency) এল ভারতের হাতে। এই উপলক্ষে এদিনই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Droupadi Murmu) ‘টিম ইন্ডিয়া’কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী বালিতে অনুষ্ঠিত জি ২০ বৈঠকে পরবর্তী পৌরোহিত্যের দায়িত্ব পায় ভারত। তাই আজ থেকে এক সপ্তাহ ধরে জি ২০-র পদ্মফুল আঁকা লোগোর আলো জ্বলবে সব স্মৃতিসৌধে। যাতে লেখা থাকবে এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ।
এদিনটিকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) জি ২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির কাছে সর্বাত্মক মানবিকতার উন্নতিকল্পে মৌলিক ভাবনায় বদল আনার ডাক দিয়েছেন।
১ ডিসেম্বর থেকে জি-২০’র সভাপতিত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করবে ভারত। এরপর আগামী এক বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ভারত জি-২০’র সভাপতিত্ব করবে। যা ভারতের পক্ষে সম্মানের বিষয়। সেই গৌরবকে তুলে ধরতে আগামী এক সপ্তাহ ধরে আলোকিত রাখা হবে দেশের ১০০ টি স্মৃতিস্তম্ভ। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবাংলার চারটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই স্মৃতিস্তম্ভগুলিতে জি-২০’র প্রতীক আলোকসজ্জার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে।
পশ্চিম বাংলার যে চারটি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে সেগুলি হল মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি, কোচবিহারের রাজবাড়ি, কলকাতার কারেন্সি বিল্ডিং এবং মেটকাফ হল। মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকা এই সমস্ত ঐতিহ্যবাহী স্মৃতিস্তম্ভগুলিকে আলোকিত করা হবে। আজ ১ ডিসেম্বর থেকে আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এগুলি আলোকিত থাকবে। অন্যান স্মৃতিস্তম্ভগুলির মধ্যে রয়েছে দিল্লির কুতুব মিনার এবং পুরানা কিলা, তামিলনাড়ুর ভেলোর ফোর্ট এবং হায়দরাবাদের গোলকুন্ডা দুর্গ প্রভৃতি।
গত মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জি-২০-র(G-20) লোগো বা প্রতীক ও থিমের উন্মোচন করেন। এবারের জি-২০-র লোগো হল একটি পদ্ম ফুল ও পৃথিবী। অন্যদিকে, জি-২০ সম্মেলনের এবারের থিম হল “ওয়ান আর্থ, ওয়ান ফ্যামিলি, ওয়ান ফিউচার”। ভারত যে “বাসুদেব কুটুম্বকম” মন্ত্র অনুসরণ করে, তার অনুপ্রেরণাতেই জি-২০(G-20) র থিম বেছে নেওয়া হয়েছে।