Gautam Adani: Adani Enterprises to be removed from Dow Jones sustainability indices

Gautam Adani: আমেরিকার শেয়ার বাজার থেকে বের করে দেওয়া হল আদানির সংস্থাকে

জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার পরে দেশের বাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। অন্যদিকে আমেরিকার শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে, আদানি এন্টারপ্রাইজকে ডাউ জোনসকে থেকে হঠানো হচ্ছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্কিন শেয়ারবাজারে আর ব্যবসা করতে পারবে না গৌতম আদানির সংস্থা। আর ডাউ জোনসের সিদ্ধান্ত জানার সঙ্গে সঙ্গে শুক্রবার ভারতের শেয়ার বাজারে্ আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দাম হু-হু করে পড়তে শুরু করেছে। কার্যত পথের ভিখারি হতে চলেছেন মোদী বান্ধব শিল্পপতি।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে আমেরিকার শেয়ার সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্টে দাবি করেছিল, এক দশক ধরে শেয়ারের দরে কারচুপি করছে আদানি গোষ্ঠী। ২৪ জানুয়ারি ওই রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই আদানিদের ১০টি সংস্থার শেয়ারে ধস নামে। প্রাথমিক ভাবে আদানিরা বিবৃতিতে অভিযোগ করে, হিন্ডেনবার্গ স্বল্পমেয়াদি মুনাফার জন্য রিপোর্ট তৈরি করেছে। এটা ভারতের অগ্রগতি রোখার চক্রান্ত। এই আক্রমণাত্মক বিবৃতি সত্ত্বেও অবশ্য হাল ফেরেনি। উপরন্তু, হিন্ডেনবার্গ পাল্টা বলে, জাতীয়তাবাদের আড়ালে প্রতারণা ঢাকা দেওয়া যায় না।

আরও পড়ুন: Budget-2023: আরও দামি হচ্ছে সোনা-রুপোর গয়না, সস্তা হচ্ছে মোবাইল-টিভি

এরই মধ্যে ২৪-৩১ জানুয়ারি আদানি এন্টারপ্রাইজ়েসের ২০,০০০ কোটি টাকার এফপিও খোলা ছিল। সাধারণ লগ্নিকারী এবং সংস্থার কর্মীরা বিশেষ সাড়া না দিলেও, মূলত শিল্প সংস্থাগুলির উপরে নির্ভর করে তার পুরোটার জন্যই জমা পড়েছিল আবেদন। কিন্তু বুধবার আদানির সংস্থা বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘আদানি এন্টারপ্রাইজ়েসের পর্ষদ এফপিও নিয়ে না এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নজিরবিহীন অবস্থা এবং বাজারের অস্থিরতার জন্য লগ্নিকারীদের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। তাদের থেকে সংগ্রহ করা পুঁজিও ফেরানো হবে।’’

এরপরেই আদানি গোষ্ঠীর অন্তত দু’টি সংস্থা আমেরিকায় তাদের বন্ডগুলিতে লগ্নিকারীদের কুপনের সাহায্যে ডলার মারফতই নির্ধারিত মূল্য মিটিয়ে দিয়েছে। আদানি পোর্টস এবং ‘স্পেশাল ইকনমিক জোন’ তাদের বন্ডগুলিতে কুপন রেটেই অর্থ দিয়েছে। আদানি ট্রান্সমিশনের তরফেও বৃহস্পতিবার বন্ড পেমেন্টের প্রক্রিয়া হয়েছে।

এখন প্রায় প্রতিদিনই হাজার্-হাজার কোটি টাকা সম্পত্তি হারাচ্ছেন এক সময়ে বিশ্বের দুই নম্বর ধনীর তকমা পাওয়া গৌতম আদানি। গত ২৪ জানুয়ারির পরে অন্তত সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি খুঁইয়েছেন তিনি। যার ফলে বিশ্বের ধনী তালিকায় ২১ নম্বরে নেমে গিয়েছেন। মার্কিন শেয়ারবাজার থেকে আদানি গোষ্ঠীকে বের করে দেওয়ার ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও মুখ ফেরাবেন বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: Budget for women 2023: এর বাজেটে মহিলারা পেলেন বিশেষ উপহার !