কোনও পুরুষকে বিয়ের পর নিজের পরিবার ছাড়তে বাধ্য করা এবং স্ত্রী বা স্ত্রীর পরিজনের তরফে তাঁকে ‘ঘরজামাই’ করার চেষ্টাকে ‘নিষ্ঠুরতা’ বলে রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এবং এই যুক্তিতেই ওই পুরুষটির তরফে দায়ের বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেছে বিচারপতি সুরেশকুমার কাইত এবং বিচারপতি নীনা বনশনের ডিভিশনের বেঞ্চ।
২০০১-এ গুজরাতের যুবকের সঙ্গে দিল্লির তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের ছ’মাসের মধ্যে মেয়েকে দিল্লি নিয়ে চলে আসেন তাঁর মা-বাবা। এদিকে স্ত্রীকে ফেরাতে বহু চেষ্টা করেন গুজরাটের ওই তরুণ। ব্যর্থ হন। উল্টে তাঁকেই দিল্লি এসে ‘ঘরজামাই’ হতে বলা হয়। যা প্রকারান্তরে তাঁর মনের উপর চাপ বাড়াচ্ছিল। ২০০২ থেকে এই স্বামী এবং স্ত্রী আলাদা থাকছেন।
আরও পড়ুন: Chandrayaan-3: চাঁদমামাতে এবার বেড়ানো যাবে, চন্দ্রযানের সাফল্যের পরে বললেন মোদী, নতুন মিশনের ঘোষণা
এই প্রেক্ষিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই দম্পতির দীর্ঘ দু’দশকের বিচ্ছিন্নতাই প্রমাণ করে, তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য বলে কিছু টিকে নেই! এই বিচ্ছিন্নতা, একে অন্যের থেকে দীর্ঘ দিন পৃথক থাকার বিষয়টিকেও পারস্পরিক নিষ্ঠুরতা বলে উল্লেখ করে আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের সান্নিধ্যে শান্তি ও সুস্থিতি পাবেন–এটাই বিবাহের উদ্দেশ্য।
নিজেদের রায়ে সুপ্রিম কোর্টের ২০১৬ সালের একটি রায়ের উল্লেখ করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: DY Chandrachud: এমন স্বামী খুঁজুন যে গৃহকর্মে নিপুণ, আইনের স্নাতকদের পরামর্শ দেশের প্রধান বিচারপতির