পরপুরুষে মন মজেছে স্ত্রীর। তা টের পেয়ে আর নিজের মাথার ঠিক রাখতে পারেনি মহিলার স্বামী। স্ত্রীর প্রেমিককে চরম শাস্তি দেবে বলে মনস্থির করে সে। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। স্ত্রীর প্রেমিককে খুনের পর ২০ টুকরোরও বেশি খণ্ডে দেহ টুকরো করল মহিলার স্বামী। তারপর দেহাংশ আবর্জনার স্তূপে ফেলে দেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের ঘটনায় অভিযুক্ত মিলাল প্রজাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মিলাল প্রজাপতির দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বন্ধু অক্ষয় কুমারের সম্পর্ক বহুদিনের। পেশায় রিক্সাচালক মিলালের সন্দেহের তালিকায় অক্ষয় ছিলেন বহুদিন। মিলালের দ্বিতীয় স্ত্রী অক্ষয়ের সঙ্গে একবার পালিয়েও গিয়েছিলেন। পরে ৩০ বছর বয়সী ওই মহিলা ঘরে ফিরে আসেন। দ্বিতীয় স্ত্রী পালানোর ক্ষোভ মনে মনে বহুদিন ধরেই ছিল মিলালের। সেই ক্ষোভ থেকে অক্ষয়কে মিলাল খুন করে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Money Heist : রাস্তায় উড়ছে ৫০০- ২০০০-র নোট! হুড়োহুড়ি বাসিন্দাদের, মাথায় হাত পুলিশের
জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় মিলালের দ্বিতীয় স্ত্রী বাড়ি ছিলেন না। তখনই অক্ষয়কে বাড়িতে আমন্ত্রণ করেন মিলাল। এরপর অক্ষয়ের ড্রিঙ্কে কোনও সন্দেহজনক কিছু মিশিয়ে তাকে খুন করে মিলাল। পরে সেই দেহ কেটে ১৫ টুকরো করে ফেলে সে। পুলিশি জেরার মাঝে মিলাল জানিয়েছে সে ধারালো করাত জাতীয় কিছু অস্ত্র ব্যবহার করেছে। পরে সেই দেহ তিনটি ছোট ছোট ব্যাগে স্থানীয় ঝোপে ফেলে দেয় সে।
তবে এত কাণ্ডের পরেও রেহাই পায়নি মিলাল। স্থানীয়রা দেহাংশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। এরপর তদন্ত করে পুলিশ মিলালকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: Swati Maliwal: বিজেপির কুৎসার জবাব দেব বললেন স্বাতী মালিওয়াল