হিন্দুদের হালাল মাংস খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রের গ্রামীণ উন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তাঁর বক্তব্য, ‘হিন্দুদের কেবল ঝটকা মাংসই খাওয়া উচিত।’ অর্থাৎ এক কোপে যে পশুদের মাংস কাটা হয়, সেগুলিই হিন্দুদের জন্য উপযুক্ত।
নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বেগুসরাইতে গিয়ে একটি জনসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, “হিন্দুরা হিন্দুদের থেকে মাংস কিনবে— মুসলমানরা মুসলমানদের থেকে! সে দিন তো চলে গেছে! এখন হিন্দুরা মুসলমানদের থেকে মাংস কিনছে। ওই মাংস হালাল যা হিন্দু ধর্মবিরোধী। হিন্দুদের ঝটকা মাংস খাওয়া উচিত। “
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, হিন্দুদের বলি প্রথায় ঠিক যেভাবে এক কোপে বলি দেওয়া হয়, সেটাই হল ঝটকা। সনাতন হিন্দুরা একসময় এই বলির মাংসই খেত। কিন্তু এখন মুসলমানদের দোকান থেকে মাংস কিনে খায়। মুসলমানরা যেভাবে পশু জবাই করে তা হল হালাল, এই হালাল মাংস হিন্দুদের ধর্মবিরোধী বলেই দাবি মন্ত্রীর। তাঁর কথায়, ‘আমি মুসলিমদের শ্রদ্ধা করি। কারণ তাঁরা ধর্মীয় রীতি মেনে কেবলমাত্র হালাল মাংসই ভক্ষণ করেন। এবার হিন্দুদেরও উচিত তাঁদের মতোই নিজের ধর্মের প্রতি দায়বদ্ধ হওয়া। গিরিরাজ বলেন, “আগে তো ‘হিন্দুরা’ মুরগির মাংসও খেত না। ছুঁত না। এখন তো সব খাচ্ছে।”
এখানেই শেষ নয়। গিরিরাজ সিং চাইছেন, এবার থেকে কেবলনাত্র ঝাটকা মাংসই বিক্রি করা হোক বাজারে। কয়েক সপ্তাহ আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে হালাল মাংস নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আর্জি জানিয়ে একটি চিঠিও লিখেছিলেন।
সম্প্রতি উত্তর প্রদেশে হালাল মাংস নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে যোগী সরকার। একাধিক হালাল সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী সংগঠনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের হয়।