কলেজের সব ছাত্রীকে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বসলেন খোদ অধ্যক্ষ! এমনই ঘটনা ঘটেছে গুজরাটের (Gujarat) ভাবনগরে। স্বাভাবিক ভাবেই এমন ঘটনার পরেই প্রতিবাদে শামিল হলেন রাজ্য়ের কংগ্রেস ও NSUI কর্মীরা। অবশেষে বিষয়টিতে তদন্তের নির্দেশ দিল ভাবনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ছুটিতে পাঠানো হল অভিযুক্ত অধ্যক্ষ রজনীবালা গোহিলকে। পরে ওই অধ্যক্ষ নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন।
ঠিক কী হয়েছিল? গত ২৪ জুন এন সি গান্ধী অ্যান্ড বি ভি গান্ধী মহিলা আর্টস অ্যান্ড কমার্স কলেজের সব পড়ুয়ার উদ্দেশে একটি নির্দেশিকা জারি করেন তিনি। সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়, যেন সমস্ত ছাত্রী পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিয়ে আসে এবং বিজেপিতে যোগদান করে। আনতে বলা হয় মোবাইল ফোনও। সেই নির্দেশিকা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে নেটমাধ্যমে। এরপরই তা ভাইরাল হয়ে গেলে চাপে পড়ে যান ওই অধ্যক্ষ।
এরপরই পরিস্থিতি শোধরাতে তিনি আর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। তাতে তিনি জানান, তিনি কারও থেকে নির্দেশ পেয়ে তবে ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করেননি। ভুলবশত ওই নির্দেশিকা জারি করে ফেলেছেন। এবং এবার তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে নিতে চান। কিন্তু এতেও বিতর্ক থামেনি। সোমবার বিকেলে বিরোধী কর্মীরা ভাবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পরে উপাচার্য ডেকে পাঠান কলেজ কর্তৃপক্ষকে। এরপরই পদক্ষেপ করা হয় ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: Agnipath: বিধায়ক- সাংসদরা নিজেদের পেনশন অগ্নিবীরদের ছেড়ে দিন, মোদীর অস্বস্তি বাড়ালেন বরুণ গান্ধী
সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কলেজ পরিচালনাকারী চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক ধীরেন্দ্র বৈষ্ণব কলেজে যাওয়ার পর অধ্যক্ষের পদত্যাগের বিষয়টি জানতে পারেন। রজনীবালাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, যে হেতু তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাই এই পদ থেকে সরে দাঁড়ানো তাঁর নৈতিক দায়িত্ব। তবে তাঁর দাবি, বিজেপির সদস্য পদ গ্রহণের বিষয়ে জানতে এক জন ছাত্রী তাঁর কাছে আসার পর তিনি অসাবধানতাবশত এই বিজ্ঞপ্তিটি পাঠিয়েছিলেন।
এই ঘটনা গুজরাতের বিভিন্ন মহলে ব্যাপক ভাবে আলোড়ন ফেলেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতিতে যোগ দিতে বলে এই রকমের বিজ্ঞপ্তি জারি করা অনৈতিক। রজনীবালা নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সঠিক কাজ করেছেন বলেও মত তাঁদের।
আরও পড়ুন: Rice Price Hike: আটার পর হু হু করে বাড়ছে চালের দাম, পকেটে টান মধ্যবিত্তের