বিষমদ খেয়ে ‘ড্রাই স্টেট’ গুজরাটের বিভিন্ন জায়গায় মৃত্যু হল কমপক্ষে ২৪ জনের। ৩০ জন হাসপাতালে ভরতি আছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১৫ জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইতিমধ্যে সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে নেমেছে গুজরাটের সন্ত্রাস দমন শাখাও (এটিএস)।
বারওয়ালা তালুক থেকে ১৫ জন এবং ধাদুকা তালুকে নয় জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাসায়নিক সরবরাহকারী টেম্পোটি পুলিস আটক করেছে বলেও জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ জনকে এবং ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Kaleem Ullah Khan: একটি গাছে ৩০০ প্রজাতির আম! ফলে ‘ঐশ্বর্য’, ‘সচিন’ ‘মোদী’, ‘সনিয়া’
চিকিৎসাধীন এক রোগী স্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, রোববার রাতে রোজিদ গ্রামে মদ খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই তার স্বামীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। একই সময়ে, অন্য একজন দাবি করেছেন যে রবিবার রাতে একজন চোরাকারবারির কাছ থেকে কেনা মদ খেয়ে কমপক্ষে ১৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ঘটনার পর সন্ধ্যায় বোটাদ সিভিল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন ভাবনগর রেঞ্জের আইজি অশোক কুমার যাদব। তিনি বলেন, ঘটনার তদন্তে ডিএসপি পর্যায়ের কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করা হবে। এদিকে, সোমবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গুজরাটে বিষাক্ত মদের ট্র্যাজেডিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছেন।
সম্প্রতি বাংলার পূর্ব বর্ধমান জেলায় এক হোটেলে মদ খেয়ে প্রথমে ২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। পড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয় ৮।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নিলেন দ্রৌপদী মুর্মু, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান সংসদে