Gyanvapi case: Aurangzeb didn't order demolition of temple: Muslim side's plea in Gyanvapi dispute

Gyanvapi case: ‘ঔরঙ্গজেব বিশ্বেশ্বরের মন্দির ধ্বংস করেননি’, জ্ঞানবাপী মামলায় হলফনামা পেশ

নিষ্ঠুর ছিলেন না মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। বারাণসীর আদি বিশ্বেশ্বরের মন্দির ধ্বংস করেননি তিনি। জ্ঞানবাপী মামলায় আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে দাবি করল মসজিদ কমিটি।

মাঝে জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানায় থাকা ‘শিবলিঙ্গে’র ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ করতে ‘আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া’কে নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে আদালত বলেছিল, এই পর্যবেক্ষণের সময় কোনও ভাবেই যেন ওই ‘শিবলিঙ্গে’র কোনও ক্ষতি না হয়। হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। পরীক্ষার মাধ্যমে ‘শিবলিঙ্গ’টি কত পুরনো, সেটি বাস্তবিকই শিবলিঙ্গ কিনা ইত্যাদি বিষয় নিশ্চিত করতেই এই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। যদিও পরে স্পর্শকাতরতার কথা মাথায় রেখে ওই ঐতিহাসিক স্থাপত্যের ওজুখানাায় থাকা ‘শিবলিঙ্গে’র বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট।

বুধবার বারাণসী আদালতে জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি হয়। সেখানে হিন্দু পক্ষের দেওয়া তথ্য অস্বীকার করে মসজিদ কমিটি। হিন্দু পক্ষের দাবি, ঔরঙ্গজেব বারাণসীর ওই মন্দির ধ্বংস করেন। ১৫৮০-তে একই জায়গায় মন্দিরের পুনর্নির্মাণ করেন রাজা টোডরমল।

হিন্দু পক্ষের এই দাবিই অস্বীকার করেছে মসজিদ কমিটি। হিন্দুদের এই দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা। নতুন আবেদনে মসজিদ কমিটি জানিয়েছে, “মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব নিষ্ঠুর ছিলেন না। তিনি বা তাঁর নির্দেশে ১৬৬৯ সালে বারাণসীর ভগবান বিশ্বেশ্বর মন্দির ভাঙা হয়নি।” আরও দাবি করা হয়, “বারাণসীর অতীত বা বর্তমান কখনই কাশী বিশ্বনাথের দু’টি মন্দির (পুরানো এবং নতুন) থাকার ধারণা ছিল না।” আবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, জ্ঞানবাপী মসজিদ হাজার হাজার বছর ধরে রয়েছে। এটি একটি মসজিদ ছিল এবং আছে। বারাণসী এবং আশেপাশের জেলার মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা এখানে দীর্ঘ বছর ধরে বাধাহীন ভাবে প্রার্থনা করে আসছেন।