মসজিদ কমিটির আর্জি খারিজ করে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। জ্ঞানব্যাপী মসজিদ নিয়ে বারাণসী আদালতের রায় বহাল রাখল। অর্থাৎ জ্ঞানব্যাপী মসজিদ চত্বরে পুজো-পাঠ চলবে বলে জানিয়ে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
মসজিদ চত্বরের দক্ষিণ অংশের ‘ব্যাস কা তহখানা’-য় আরতি এবং পুজোয় আপত্তি জানিয়ে মসজিদ কমিটির তরফে হাই কোর্টকে বলা হয়েছিল, ১৯৩৭ সালে জ্ঞানবাপী সংক্রান্ত বিবাদের রায় মুসলিমদের পক্ষেই গিয়েছিল, তাই ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)-কে দিয়ে নতুন করে সমীক্ষা করানো এবং তার উপর ভিত্তি করে আরতি-পূজাপাঠের নির্দেশ দেওয়া যায় না। ২০২২ সালে বারাণসী আদালতের নির্দেশে করা ‘অ্যাডভোকেট কমিশনার’-এর রিপোর্টকেও বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মুসলিম পক্ষের দাবি ছিল।
তাদের সেই আবেদন খারিজ করে দিল বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের সিঙ্গল বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, মসজিদ চত্বরে যাতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হয়, সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য অ্যাডভোকেট জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি। যদিও হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিল আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি।
প্রসঙ্গত, বুধবারই বারাণসী আদালতের তরফে জ্ঞানব্যাপী মসজিদের বেসমেন্ট বা নীচের তলে ‘ব্যাস কা তেহখানা’য় হিন্দু পক্ষকে পুজো করার অনুমতি দেওয়া হয়। আদালতের সেই নির্দেশের পরই বিকেল সাড়ে ৫টায় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জেলাশাসক। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ জ্ঞানব্যাপী মসজিদে পৌঁছন জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিক-সহ কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টের তরফে গণেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড়। এরপর রাত ১টা নাগাদ মসজিদের নীচে ‘ব্যাস কা তেহখানা’য় প্রবেশ করেন তাঁরা। তারপর ওম প্রকাশ মিশ্র নামক এক পুরোহিতকে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টের তরফে গর্ভগৃহে পুজোর দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং পুজো শুরু হয়।