বারাণসীর জেলা আদালতের নির্দেশকে হাতিয়ার করে গতকাল রাতেই খুলেছে জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ‘সিল’ করা বেসমেন্ট ‘ব্যাস তয়খানা’। প্রশাসনের উপস্থিতিতেই পুজো শুরু করেছে হিন্দু পক্ষ। জেলা আদালতের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করল মুসলিম পক্ষ। যদিও সূত্রের খবর, শীর্ষ আদালতের তরফে অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটিকে এলাহাবাদ হাই কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মসজিদ চত্বরের দক্ষিণ অংশের ‘ব্যাস কা তহখানা’-য় আরতি এবং পুজোয় আপত্তি জানিয়ে মসজিদ কমিটির তরফে বৃহস্পতিবার হাই কোর্টকে বলা হয়েছে, ১৯৩৭ সালে জ্ঞানবাপী সংক্রান্ত বিবাদের রায় মুসলিমদের পক্ষেই গিয়েছিল, তাই ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)-কে দিয়ে নতুন করে সমীক্ষা করা করানো যায় না। ২০২২ সালে বারাণসী আদালতের নির্দেশে করা ‘অ্যাডভোকেট কমিশনার’-এর রিপোর্টকেও বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মুসলিম পক্ষের দাবি।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি অভিযোগ জানিয়েছে, প্রশাসন বুধবার রাতেই বিরাট নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে মসজিদ চত্বরে। মসজিদের দক্ষিণ দিকের গ্রিল কাটার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, আদালত সাত দিনের মধ্যে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছিল। সেখানে রাতারাতি পুজো শুরু হওয়ার ঘটনাকে উল্লেখ করে প্রশাসনের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি, গতকাল রাতেই সুপ্রিম কোর্টে মামলার জরুরি শুনানির আবেদন করেন মুসলিম পক্ষ। ওই আবেদনে বলা হয়েছে, হিন্দু পক্ষের সঙ্গে যোগসাজেশে যোগী প্রশাসন রাতের মধ্যেই জেলা আদালতের নির্দেশকে বাস্তবায়িত করতে লেগে পড়েছে। অতএব, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। যদিও সূত্রের খবর, মুসলিম পক্ষের আইনজীবীদের এলাহাবাদ হাই কোর্টে যেতে বলা হয়েছে।