বৃহস্পতিবারই এলাহাবাদ হাই কোর্ট রায় দিয়েছে, সুবিচারের স্বার্থেই জ্ঞানবাপীতে (Gyanvapi mosque) বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালানো দরকার। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মসজিদ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শুক্রবার শীর্ষ আদালতও জ্ঞানবাপীর বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার সপক্ষেই রায় দিল। উল্লেখ্য, আজ ভোরবেলাই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এএসআই সমীক্ষা শুরু করেছে জ্ঞানবাপীতে।
শুক্রবার কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে এএসআই-এর পুরাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞেরা জ্ঞানবাপী চত্বরে ঢুকে কাজ শুরু করেন। সূত্রের খবর, ‘সিল’ করা এলাকার বাইরে পশ্চিমের দেওয়াল-সহ কিছু অংশে কিছু ‘পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন’ লিপিবদ্ধ করা এবং ছবি তোলার কাজ চলে। তবে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের ‘পরামর্শ’ সত্ত্বেও জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি’র তরফে এই প্রক্রিয়ার অংশগ্রহণ করা হয়নি। মসজিদ কমিটির যুগ্ম সচিব এসএম ইয়াসিন বলেন, ‘‘ইলাহাবাদ হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আমরা বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ দেখে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ করব।’’
আরও পড়ুন: Firing in Train : চলন্ত ট্রেনে গুলি আরপিএফ কর্মীর, হাত পুলিশ আধিকারিক সহ ৪
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও জেপি পারদিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। মামলার শুনানিতে এএসআই একটি লিখিত পেশ করে। যেখানে এএসআই জানিয়েছে সমীক্ষার কাজে কোনও মতেই খনন কাজ হবে না। এছাড়াও কোর্ট নির্দেশে জানিয়েছে, কোনও মতেই ওই স্থানটির কোনও ক্ষতি সাধন করা যাবে না সমীক্ষার সময়। এছাড়াও আক্রমনাত্মক নয় বা অনুপ্রবেশবোধক নয়, এমন একটি পন্থায় চালাতে হবে এই সমীক্ষা। ফলে সমীক্ষার সময় যাতে কোনও মতেই ইমারতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে এএসআইকে।
অন্যদিকে, জ্ঞানবাপী মসজিদের তলায় বৌদ্ধ স্তূপ রয়েছে বলেও বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদনে দাবি করা হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশের বৌদ্ধ সংগঠন ‘শ্রমণ সংস্কৃতি রক্ষা মঞ্চ’-এর তরফে ওই আবেদনে বলা হয় প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীর বৌদ্ধ স্তূপটির উৎখননের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুক শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: Modi Surname Case: মোদী পদবি মামলার শাস্তিতে স্থগিতাদেশ, সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় স্বস্তি রাহুল গান্ধীর