রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) দু’বছরের জন্য জেলে পাঠানোর রায় দিয়েছেন মাস দেড়েক আগেই। সুরাট আদালতের সেই বিচারককে এবার ‘পুরস্কার’ দিল সরকার। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক থেকে সোজা রাজকোটের অতিরিক্ত জেলা জজ পদে উন্নীত হলেন বিচারক এইচ এইচ বর্মা। এর পরেই গুজরাট সরকারেরই দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক দ্বারস্থ হলেন সুপ্রিম কোর্টে। তাঁদের দাবি রাহুলকে জেলে পাঠানো ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক এইচ এইচ বর্মা-সহ ৬৮ জন বিচারকের পদন্নোতি এবং বদলি নিয়মবিরুদ্ধ। এই পদন্নোতি এবং বদলির সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখা উচিত। সেই আরজি মেনে নিয়ে মামলা গ্রহণ করল শীর্ষ আদালত।
অপরাধমূলক মানহানির মামলায় গত ২৩ মার্চ রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেয় সুরাটের নিম্ন আদালত। সুরাট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের সেই সিদ্ধান্তের জেরে একদিন পরেই সাংসদ পদ খোয়াতে হয় প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) সভাপতিকে। এমনকী সাংসদ হিসাবে দিল্লিতে তিনি যে বাংলো পেতেন, সেটাও ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে রাহুলকে। রাহুল গান্ধীকে শাস্তি দেওয়া সেই বিচারককে সুরাটের চিফ ম্যাজিস্ট্রেট থেকে সোজা রাজকোটের অতিরিক্ত জেলা বিচারকের পদে উন্নীত করা হয়েছে। সম্প্রতি গুজরাট হাই কোর্ট মোট ৬৮ জন বিচারকের বদলি এবং পদোন্নতির বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এদের মধ্যে মোট পাঁচজনের পদন্নোতি হয়েছে। তাতেই বিচারক এইচ এইচ বর্মার নাম রয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: সুকন্যার গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুললেন কেষ্ট, মেয়ের জন্য আদালতে আর্জি অনুব্রতর
কিন্তু গুজরাট সরকারের দুই আধিকারিক রবিকুমার মেহেতা, শচীন প্রতাপরাই মেহেতা দাবি করেছেন, ওই ৬৮ জন বিচারকের পদন্নোতি এবং বদলি নিয়ম মেনে হয়নি। দুই মামলাকারী চাইছেন, এই ৬৮ জনের নতুন পদে নিয়োগ বাতিল করে নতুন করে মেধা তালিকা তৈরি করা হোক। এবং যোগ্য বিচারকদের পদন্নোতি হোক। এ নিয়ে শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকারের সচিবের কাছে জবাব তলব করেছে। সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছে, কেন এত তাড়াহুড়ো করে বিচারকদের পদোন্নতি হল? কীসের ভিত্তিতেই বা তালিকা তৈরি করা হল?
কংগ্রেস শুরু থেকেই বলে আসছে, রাহুলের মামলায় বিচারবিভাগকে প্রভাবিত করেছে বিজেপি। বিশেষজ্ঞমহলের একাংশেরও বক্তব্য ছিল, রাহুলের ক্ষেত্রে লঘু পাপে গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারকের পদন্নোতি কংগ্রেসের সেই অভিযোগকে কিছুটা হলেও মান্যতা দিল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।