উত্তরপ্রদেশে ‘হালাল’ লেখা খাবার বিক্রি নিষিদ্ধ করল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। শনিবার খাদ্য কমিশনারের কার্যালয় এক আদেশে বলেছে, “পণ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ এবং বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।” তবে রপ্তানির জন্য বোঝানো খাদ্য আইটেমগুলি নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত।
কোনও পণ্যের প্যাকেটে ‘হালাল সার্টিফায়েড’ লেখা থাকার অর্থ সেটিকে ইসলামিক আইন বৈধ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই মাঠে নেমেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ (Uttar Pradesh Police)। দায়ের হয়েছে একাধিক এফআইআর। তার মধ্যে একটি কোম্পানি চেন্নাইয়ের হালাল ইন্ডিয়া প্রাইভেড লিমিটেড। পুলিশ এই মামলায় বেশ কয়েকটি অ্যাসোসিয়েশনের নামে অভিযোগ তুলেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে, দিল্লির জমিয়ত উলেমা হিন্দ হালাল ট্রাস্ট, হালালা কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া এবং মুম্বইয়ের জমিয়ত উলেমা।
হালাল ইন্ডিয়ার সার্টিফিকেটে মান্যতা দেয় কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, মালয়েশিয়া-সহ বহু দেশ। সেই সূত্রে ভারত বিপূল বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে। যদিও হিন্দুত্ববাদী কিছু সংগঠন হালাল সার্টিফিকেটের বিরোধিতা করে আসছে। গত বছর কর্নাটকে দেশের একটি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানির পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছিল হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠন। ওই সংস্থার পণ্যে হালাল সার্টিফিকেটের উল্লেখ ছিল।
উল্লেখ্য, হালাল হল একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ যা বৈধ বা নিয়মনিষ্ঠ। এর বিপরীত শব্দটি হল হারাম অর্থাৎ যা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে হালাল শব্দটির বহুল ব্যবহার হল পশু জবাইয়ের পদ্ধতি হিসাবে। অনেক ধর্মেরই নিজস্ব খাদ্য প্রস্তুত প্রণালী, পশু জবাবের নিজস্ব বিধি আছে। ধর্মপ্রাণ ইহুদিরা যেমন শুধুমাত্র কশরুত খাদ্য প্রণালী অনুসরণ করে তৈরি খাদ্যই গ্রহণ করে থাকেন। হিন্দু এবং শিখরা পশু বলির যে পদ্ধতি অনুসরণ করেন তাকে বলে ঝাটকা।