Haryana Assembly Election 2024: Bhupinder Hooda most preferred for Haryana chief minister post: Exit poll

Haryana Assembly Election 2024: এক্সিট পোলে জয়ের আভাস কংগ্রেসের, মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে সিনিয়র ও জুনিয়র হুডা, সঙ্গে শৈলজা, সুরজেওয়ালা

ভোটের আগেই জানা ছিল, দশ বছর ক্ষমতাসীন বিজেপি বিদায় নিচ্ছে। শনিবার সব বুথ ফেরত সমীক্ষা রিপোর্টেই হরিয়ানায় কংগ্রেসের বিপুল ব্যবধানে জয়ের আভাস দেওয়া হয়েছে। এরপরেই সরকার গড়বে ধরে নিয়ে কংগ্রেস বিধায়কদের নিরাপদ স্থানে রাখার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। হরিয়ানায় দলে ভোটের আগে দাবিদার ছিলেন তিনজন—প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা লোকসভার সদস্য কুমারী শৈলজা এবং কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। শনিবার বুথ ফেরত সমীক্ষা প্রকাশের পর তালিকায় যুক্ত হয়েছে চতুর্থ নাম দীপেন্দ্র সিং হুডা। তিনি ভূপিন্দরের পুত্র এবং লোকসভার সদস্য।

যদিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র সিংহ হুডাকেই কুর্সিতে বসাবেন বলে দলের অধিকাংশ নেতাই মনে করছেন। কারণ সুরজেওয়ালা এবং কুমারী শৈলজা – কেউই এ বার ভোটে লড়েননি। এই আবহে শনিবার ভোট শেষের পরে বুথফেরত সমীক্ষায় হুডার জনপ্রিয়তা সামনে এসেছে ইন্ডিয়া টুডে-সি ভোটার প্রকাশিত ওই সমীক্ষা জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে হুডাই এখন হরিয়ানার ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তম।

তাৎপর্যপূর্ণ হল, একদিকে, কুমারী শৈলজা যেমন সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি পেশ করে এসেছেন, অন্যদিকে, ভূপিন্দর এবং তাঁর পুত্র দীপেন্দ্র দু’জনেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে।

কিন্তু মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে লড়াই জমে উঠতে পারে বাবা ও ছেলের দাবি ঘিরে। ভূপিন্দ্রর ২০০৬ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। মাঝে দশ বছর বিরোধী দলনেতা হিসাবে প্রবল বেগ দিয়েছেন বিজেপি সরকারকে। মূলত তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিত্বের লড়াইয়ে পিছিলে পড়া মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরকে কয়েক মাস আগে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয় বিজেপি।

অন্যদিকে, তাঁর আমেরিকায় পড়াশুনো করা পুত্র দীপেন্দ্র বছর কুড়ি হল রাজ্য-রাজনীতিতে সক্রিয়। কংগ্রেসের এই নবীন নেতাও রাহুলের ঘনিষ্ঠ এবং দলেও যথেষ্ট জনপ্রিয়। শৈলজা এবং ভূপিন্দরের লড়াই তীব্র হলে দীপেন্দ্রর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ছেলের জন্য বাবা ভূপিন্দপ নিজের দান ছাড়বেন কি না সেটাই দেখার।