পৈশাচিকতার হাত থেকে রেহাই নেই মায়েরও! দিনের পর দিন ছেলের যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মা। অবশেষে ছেলের থেকে পাওয়া এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন মা। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানায় (Haryana)। যদিও পৈশাচিক এই কাজের কড়া শাস্তি দিয়েছে আদালত। অভিযুক্ত ছেলেকে আ-মৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে হরিয়ানা আদালত। তার সঙ্গে ২০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানাও ধার্য করেছেন বিচারক।
২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর হরিয়ানার একটি গ্রামে আত্মহত্যা করেন বছর ৫৫-র এক মহিলা। ওই মহিলার স্বামী থানায় অভিযোগ দায়ের করে দাবি করেন, তাঁর স্ত্রীকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। পরে এই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে ওই মহিলার বড় ছেলে মাদকাসক্ত। মাদক কেনার টাকা চাইতে পরিবারের সদস্যদের উপর অত্যাচার করতেন তিনি। মত্ত অবস্থায় নিয়মিত মাকেও ধর্ষণ করতেন। ওই ব্যক্তির মা আত্মহত্যা করার পর তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। সেখানেও ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলে আদালতে জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: Bihar: বিষমদ খেয়ে বিহারে ফের মর্মান্তিক মৃত্যু ১৬ জনের, চিকিৎসাধীন আরও ৪৮
ধর্ষণের দায়ে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, বছর কুড়ি আগে ওই মহিলার স্বামী মারা যান। তারপর দেওরকে বিয়ে করেন তিনি। তাই নিয়েও মাকে কথা শোনাত ছেলে। শারীরিক নিগ্রহে বাধা দিলে মারধর করা হত। আগেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল পুলিশ। গোটা তদন্তপ্রক্রিয়ায় আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী মিলিয়ে প্রায় ১৮ জন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক রাহুল বিষ্ণোই তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, ছেলে হিসাবে যেখানে ‘তাঁর (মা) ছাতা হয়ে সুরক্ষা’ দেওয়া উচিত অভিযুক্তের, সেখানে ‘পশুর মতো ঘৃণ্য আচরণ’ করে তাঁকে চরম পদক্ষেপ করতে বাধ্য করেছে। নিজের জীবন দেওয়া ছাড়া ওই মহিলার কাছে আর কোনও পথ ছিল না। অপরাধের তীব্রতা এবং অভিযুক্তের আর্থিক অবস্থা বিচার করেই অভিযুক্ত ছেলেকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে বলে বিচারক জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Population: জন বিস্ফোরণ! জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে টপকে গেল ভারত, বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জের সমীক্ষা