জেলমুক্তির পরেই মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে কামব্যাক হেমন্ত সোরেনের। জানা গিয়েছে, তাঁকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন। বৃহস্পতিবারই বিকেল পাঁচটার সময়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন হেমন্ত।
হেমন্ত হাইকোর্টে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক বসে শাসক ইন্ডিয়া জোটের। সেখানে কংগ্রেস, রাষ্ট্রীয় জনতা দল সহ জেএমএমের বিধানসভা সদস্যরাও হেমন্তকে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাতে একমত হন। ওই বৈঠকের পরেই সরকার গঠনের জন্য হেমন্তকে অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। তার পরেই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বিজেপিকে খোঁচা দেন হেমন্ত। বলেন, শত্রুরা যে গণতন্ত্র বিরোধী ষড়যন্ত্র করে সেটার শেষের দিন শুরু হয়ে গিয়েছে। সত্যমেব জয়তে স্লোগানও লেখেন তিনি।
আর কয়েক মাস পরেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন আছে। সেই ভোটে হেমন্ত সোরেনকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ করে এগতে চায় ইন্ডিয়া জোট। তবে ইন্ডিয়া জোটের বিধায়কদের বৈঠকে চম্পাইকে সরিয়ে প্রাক্তনকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তাতে একেবারেই খুশি হননি বর্ষীয়ান নেতা।দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চম্পাই খুবই দুঃখ পেয়েছেন। জেএমএমের বিধান পরিষদীয় দলের বৈঠকে তিনি ‘অপমানিত’ বোধ করছেন। তাই দেরি না করে গতকালই সন্ধ্যায় তিনি রাজভবনে গিয়ে পদত্যাগ করেন। সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে চম্পাই সোরেনকে দলের কার্যকরী সভাপতির পদ দেওয়া হবে। যে পদে এতদিন ছিলেন খোদ হেমন্ত।
বুধবার সন্ধে সাতটা নাগাদ রাজভবনে পৌঁছন চম্পাই সোরেন। রাজ্যপাল সিভি রাধাকৃষ্ণনের কাছে ইস্তফা জমা দেন। ইস্তফাপত্র গৃহীত হওয়ার পরেই সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপালের কাছে দাবি জানান জেএমএম নেতা হেমন্ত। প্রায় পাঁচ মাস পর গত ২৮ জুন ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট হেমন্ত সোরেনকে জামিনে মুক্তি দেয়। সেই জামিনের বিরোধিতা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট খুব শীঘ্রই সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ অবসরকালীন আর্জি জানাতে চলেছে।