চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের হিজাব কিংবা গেরুয়া শালসহ যেকোনো ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরার ক্ষেত্রে বিরত থাকার আদেশ দিয়েছেন কর্ণাটক হাইকোট। বৃহস্পতিবার হিজাব ইস্যুতে এই অন্তর্বর্তী আদেশ দেন কর্ণাটক হাইকোর্ট।
আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার। হিজাব নিয়ে সরকারি নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা চলছে। হার্ই কোর্টে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করার আগে প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থি জানান, কর্নাটকের কলেজগুলি খোলা যেতে পারে, তবে যেহেতু বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন তাই পড়ুয়ারা কোনও রকম ধর্মীয় পোশাক পরে কলেজে প্রবেশ করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: UP Elections 2022: ৩ মার্চ মোদির বারাণসীতে যাবেন, অখিলেশকে পাশে বসিয়ে ঘোষণা মমতার
শুধু মুখের কথা শুনে কোনও রকম প্রতিবেদন না করার জন্য সাংবাদমাধ্যমকে নির্দেশে দিয়েছে আদালত। পডুয়াদের সঙ্গে আচারণে চরম সংযম বজায় রেখে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত বলে, ‘‘মাথায় স্কার্ফ পরা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে কি না তা বিবেচনা করছি। সেই সঙ্গে এটি ধর্মীয় অনুশীলনের অংশ কি না তাও বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।’’
কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ঋতু রাজ অবস্থি, বিচারপতি কৃষ্ণ এস. দীক্ষিত এবং বিচারপতি খাজি জাইবুন্নেসা মহিউদ্দিনের বেঞ্চ এই অন্তর্বর্তী আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বাতিল হবে তেরঙ্গা, আগামীদিনে জাতীয় পতাকা হবে গেরুয়া’, মন্তব্য বিজেপি নেতার