বিজেপির কাছে থেকে হিমাচল (Himachal) ছিনিয়ে নিল কংগ্রেস। বার বার রিজার্ভবেঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী নামিয়েও কাজ হল না। এই বাজারের যে কংগ্রেস ফের এমন করে সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখতে পারবে তা নেকেই কল্পনা করেনি। তবে বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছিল লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। কিন্তু কংগ্রেস যে মার্জিনটা এইভাবেই বাড়িয়ে রাখতে পারবে তা বোঝা যায়নি। তবে একথা শুনে অনেকে বলছে বুঝেই হবেটাই বা কি। হাতের থেকে সরকার ছিনিয়ে নিতে পদ্মপার্টির বেশিদিন লাগবে না। ফলে মরা বাজারে এমন জয় উজ্জাপনের আগেই ঘর সামলাতেই কপালে ভাঁজ পড়েছে কংগ্রেসের।
গুজরাতে(Gujrat) বিজেপি পাঁচ বছর যেভাবে আঁটোসাঁটো ছিল, হিমাচলে সেই দৃশ্য দেখা যায়নি। বরং বারবার কোন্দল বেআব্রু হয়েছে। সামাজিক প্রকল্প, পেনশন ইত্যাদি নিয়েও জনমানসে ক্ষোভ ছিল। ভোটে সেসব প্রতিফলিত হয়েছে বলেই মত অনেকের।
হিমাচলে ১৯টি আসন কমেছে বিজেপির। একই পরিমাণ আসন বেড়েছে কংগ্রেসের। ৬৮টি আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস ৪০টি আসন পেয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, গুজরাতের জয় বিজেপির কাছে ইতিবাচক এই কারণে, সেখানে দীর্ঘদিন তারা সরকার চালাচ্ছে। সময়ের নিয়মে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা থাকা স্বাভাবিক। তারপরেও এই জয় গেরুয়া শিবির ও মোদীর জন্যও স্বস্তির শুধু নয়, চব্বিশের জন্য অক্সিজেনও বটে।