আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশের পর এবার কংগ্রেস শাসিত হিমাচল প্রদেশ। রেস্তরাঁ বা খাবারের দোকানের সামনে সাইনবোর্ডে লিখতেই হবে মালিকের নাম, ফোন নম্বর, ঠিকানা। ঘোষণা করে দিল সেরাজ্যের সুখবিন্দর সিং সুখু সরকার। উৎসবের মরশুমের আগে আগেই কংগ্রেস সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
এখন থেকে রাজ্যের সমস্ত খাবারের দোকানে বাধ্যতামূলকভাবে বিক্রেতার নাম ও পরিচয় লিখতে হবে। বুধবার এমনটাই জানালেন কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা গ্রামীণ সিমলার সাংসদ বিক্রমাদিত্য সিংহ। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবারই নগরোন্নয়ন এবং পুরসভার বৈঠকে এবিষয়ে নির্দেশ জারি করা হয়েছে।‘
কানোয়ার যাত্রার সময় উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার নির্দেশ দিয়েছিল, যাত্রার প্রতিটি রুটে যত খাবারের দোকান রয়েছে, তার সবকটিতেই বড় বড় ব্যানার দিয়ে লিখতে হবে দোকান মালিকের নাম। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল, পুণ্যার্থীরা যাতে আলাদাভাবে চিনতে পারেন হিন্দু ও মুসলিম দোকানগুলিকে। পরে সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে সেই নির্দেশ বাতিল করে দেয়।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে (Uttarpradesh) ফলের রসে প্রস্রাব মেশানো, থুথু দিয়ে রুটি বেলার মতো একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে যোগী বলেছিলেন, ‘এমন দূষিত খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।’ দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। এরপরেই মঙ্গলবার যোগী আদিত্যনাথ সরকার জানিয়ে দেয়, এবার থেকে খাবারের দোকানগুলিতে লিখে রাখতে হবে দোকানির নাম-ঠিকানা। দোকানে বসাতে হবে সিসিটিভি ক্যামেরাও। এরপরই বুধবার যোগীর দেখানো পথ অনুসরণ করল হিমাচল প্রদেশ সরকার।