মেঘভাঙা বৃষ্টিতে (Himachal Pradesh Cloudburst) বিপর্যস্ত হিমাচলপ্রদেশের সিমলা (Shimla), মান্ডি, কুল্লু। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। ৫০ জনের বেশি নিখোঁজ। উদ্ধারকাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার ভোরে হিমাচলের একাধিক এলাকা মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি হিসাবে এখনও পর্যন্ত, ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ ৫০ জনেরও বেশি। হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু জানিয়েছেন, ভোর ৪টে ৪০ মিনিট নাগাদ মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। মান্ডির থালতুখড় এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে অন্তত ৯ জন নিখোঁজ বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে। সেখানে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এক জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন মান্ডির ডেপুটি কমিশনার অপূর্ব দেবগন। শিমলা জেলার রামপুরের কাছে সামেজখড় এলাকাতেও মেঘভাঙা বৃষ্টিতে নিখোঁজ অন্তত ১৯ জন। তাঁদের খোঁজে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
গতকাল রাত থেকে মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়। ঘুমের মধ্যেই তলিয়ে যান অনেকে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সিমলা। ভারী বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে একাধিক গ্রাম। নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ, পুলিশকর্মী ও হোমগার্ড। ড্রোনের সাহায্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তল্লাশি চলছে।
এদিকে গতকাল রাত থেকে বৃষ্টির কারণে ঘনভি ও সমেজ খাদে জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। ভেসে গিয়েছে একাধিক বাড়ি, ২টি ফুট ব্রিজ, স্কুল, হাসপাতাল, বিদ্যুৎপ্রকল্পের রেস্ট হাউস। লাগাতার বৃষ্টির জেরে সড়ক যোগযোগ ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫ নম্বর জাতীয় সড়কের ঝাকরি থেকে কিন্নর পর্যন্ত রাস্তা যান চলাচলের জন্য খোলা থাকলেও জেওরি থেকে ঘানভি পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ। ব্যাস ও তীর্থন নদীর জলও বেড়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে পার্বতী নদীর জল। হিমাচলপ্রদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর সঙ্গে কথা বলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। কেন্দ্রের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।