আদানি শেয়ারকাণ্ডে এ বার অভিযোগের তির সেবি চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ ও তাঁর স্বামী ধবল বুচের বিরুদ্ধে। এমনই দাবি হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে। শনিবার হিন্ডেনবার্গের তরফে এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) লেখা হয়েছিল ভারতে বড় কিছু হতে চলেছে, যা ‘বিস্ফোরক’। অভিযোগ, সেবির চেয়ারপার্সনও নাকি আদানিদের সংস্থায় অংশীদার।রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই ফের প্রত্যাশিতভাবেই সরব বিরোধীরা। ইডি-সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল। কংগ্রেস বলছে, স্বার্থের সংঘাত সরিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্ত করতে হবে।
হিন্ডেনবার্গের আরও দাবি, বিদেশি বার্মুডা ও মরিশাস ফান্ডে অংশীদারিত্ব ছিল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির প্রধানের। গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির বিদেশে থাকা সংস্থায় অংশীদারিত্ব রয়েছে সেবি প্রধান এবং তাঁর স্বামীর।সেই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন সেবির শীর্ষকর্তা মাধবী পুরী বুচ। বারমুডা ও মরিশাসের অখ্যাত অফশোর ফান্ডে মাধবী বুচ ও তাঁর স্বামীর অঘোষিত বিনিয়োগ ছিল বলেও দাবি করা হয়েছে। সেই ফান্ডের উৎস ছিল মাধবীর বেতন।
হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০১৮ সালে ব্যক্তিগত ই-মেল ব্যবহার করে স্বামীর নাম করে বিনিয়োগ থেকে টাকা তুলে নেন মাধবী। ২০২০ সালের মার্চ মাসে সেবির চেয়ারপার্সন নিযুক্ত হন তিনি। তার পরই ব্ল্যাকস্টোন নামে একটি সংস্থায় উপদেষ্টা হিসাবে যোগ দেন মাধবীর স্বামী ধবল বুচ।
তার পরই এ দেশে জমি, আবাসন, রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্টের (আরআইআইটি) ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে শুরু করে ব্ল্যাকস্টোন নামের লগ্নিকারী সংস্থাটি। মাধবী সেবিতে যোগ দেওয়ার পর ব্ল্যাকস্টোনকে সুবিধা পাইয়ে দিতে আরআইআইটি-র বহু নিয়ম পাল্টে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে এই রিপোর্টে।