সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে কেস চলছে সুপ্রিম কোর্টে। এই ধরনের বিবাহের স্বীকৃতির জন্য লড়ে চলছে একাধিক মানুষ। কিন্তু বহু মানুষ এই বিবাহের বা এরূপ সম্পর্কের বিরোধিতায় রয়েছেন। এমনকি কেন্দ্র এবং বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও এই সমলিঙ্গ বিবাহের চরম ভাবে বিরোধিতা করেছেন। এবার এই নিয়েই করা হল এক সমীক্ষা। সমীক্ষাটি করা হয়েছে আর এস এস এর মহিলা সংগঠন রাষ্ট্র সেবিকা সমিতির অধীনস্ত বিভিন্ন চিকিৎসক এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে। তবে এই সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে এক বিস্ফোরক তথ্য। যা কেউ কল্পনাও করতে পারে নি। সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে ‘সমকামিতা এক ধরনের ব্যাধি’। শুধু তাই নয়। সমকামী বিবাহের বিরোধিতার কথা ফুটে উঠেছে সেই সমীক্ষায়। বলা হয়েছে, সমলিঙ্গ বিবাহ স্বীকৃতি পেলে সমাজে এই ‘ব্যাধি’ আরও ছড়িয়ে পড়বে।
রাষ্ট্র সেবিকা সঙ্ঘের এক পদাধিকারী জানিয়েছেন, এই সমীক্ষার অংশ হিসাবে দেশের ৩১৮ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল এবং তাঁদের মতামত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অ্যালোপ্যাথিক থেকে আয়ুর্বেদের মতো সব ক্ষেত্রের চিকিৎসকরা রয়েছেন। সমকামিতার ব্যাপারে তাঁদের মতামতের ভিত্তিতেই এই সমীক্ষা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সমীক্ষাতেই সমকামিতাকে ‘ব্যাধি’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আরএসএস-এর সংগঠন বলেছে, “সমীক্ষায় উঠে এসেছে, সমলিঙ্গ বিবাহে স্বীকৃতি দিলে সমাজে এই ধরনের ব্যাধি আরও ছড়িয়ে পড়বে। সাধারণ হয়ে ওঠার বদলে মানুষ এতে আক্রান্ত হবেন।” এই ধরনের ‘মানসিক রোগে আক্রান্তদের সুস্থ করে তোলার জন্য কাউন্সিলিং’ করানো সবথেকে ভালো উপায় বলেও উঠে এসেছে আরএসএস-এর সমীক্ষায়।
আরএসএস-এর ওই শাখা সংগঠন দাবি জানিয়েছে, ভারতে সমলিঙ্গ বিবাহে স্বীকৃতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এ নিয়ে জনগণের মত নেওয়া জরুরি। এমনকি সমলিঙ্গ বিবাহে স্বীকৃতির বিষয় সুপ্রিম কোর্টের খারিজ করে দেওয়া উচিত ছিল বলে এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে চলছে সমলিঙ্গ বিবাহে স্বীকৃতির দাবিতে দায়ের হওয়া একাধিক পিটিশনের শুনানি।
আরও পড়ুন: Giridih: পুরি গরম নেই কেন! বিয়েবাড়িতে পাথরবৃষ্টি, রক্তারক্তি কাণ্ড