বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় টিভি সঞ্চালককে অপহরণ করে আপাতত শ্রীঘরে হায়দরাবাদের মহিলা ব্যবসায়ী। শুক্রবার ওই মহিলা ও তাঁর চার সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে তেলঙ্গানা পুলিশ। জানা গেছে ধৃত মহিলার নাম ভোগিরেড্ডি তৃষ্ণা (৩১)। হায়দরাবাদের একাধিক স্টার্টআপ কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর তিনি।
জানা গিয়েছে, ডিজিটাল মার্কেটিং-র ব্যবসা রয়েছে ওই যুবতীর। একটি ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটেই তিনি প্রথম টেলিভিশন সঞ্চালক প্রণব সিসলাকে দেখেন। তাদের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়। প্রায় দুই বছর ধরে কথাবার্তা হয় তাদের মধ্যে। ধীরে ধীরে আলাপচারিতা বাড়ে। হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামেও যোগাযোগ শুরু হয় তাঁদের। ওই যুবতীকে প্রণব জানান, তাঁর সঙ্গে একটি ব্যবসায় লগ্নি করতে। যুবকের উপর ভরসা করে ৪০ লক্ষ টাকা লগ্নি করেন তৃষা। কিন্তু ওই টাকা পেতেই চম্পট দেন প্রণব । এরপরে একদিন যুবতী বুঝতে পারেন যে যার সঙ্গে কথা বলছেন তিনি ওই সঞ্চালক নন। বরং তাঁর ছবি ব্যবহার করে অন্য কেউ কথা বলছিলেন।
এরপরে ওই যুবতী বিভিন্ন প্রোফাইল ঘেঁটে ওই সঞ্চালকের আসল নম্বর খুঁজে বের করেন। তাঁকে মেসেজ করে জানান যে অচেনা এক ব্যক্তি তাঁর ছবি ব্যবহার করে ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে অ্যাকাউন্ট চালাচ্ছে। সাইবার ক্রাইম পুলিশ স্টেশনে অভিযোগও জানান ওই অ্যাঙ্কর। এইসবের পরও কিন্তু ওই যুবতী থামেননি। টিভির সঞ্চালককে টানা মেসেজ করতে থাকেন। বাধ্য হয়েই অ্যাঙ্কর যুবতীর নম্বর ব্লক করে দেন।
কথা বলতে না পেরেই যুবতী ওই অ্যাঙ্করকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে। অপহরণ করে এনে তাঁকে বুঝিয়ে বিয়ে করার চিন্তাভাবনা ছিল ওই যুবতীর। অ্যাঙ্করের গতিবিধির উপরে নজর রাখার জন্য তাঁর গাড়িতে ট্র্যাকিং ডিভাইসও বসান।যুবতীর নির্দেশেই গত ১১ ফেব্রুয়ারি চার ব্যক্তি ওই যুবককে অপহরণ করেন। মারধর করে ওই যুবককে নিয়ে যান ওই যুবতীর অফিসে। ভয়ে ওই টিভি অ্যাঙ্কর যুবতীর শর্তে রাজিও হয়ে যান। তারপর ওই যুবতী তাঁকে ছেড়ে দেয়।
এরপরই ওই অ্যাঙ্কর উপল পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ জানান। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩ (অপহরণ), ৩৪১ (অন্যায়ভাবে বাধা দেওয়া), ৩৪২ (জোর করে আটকে রাখা) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ওই যুবতীকে গ্রেফতার করেছে। যে চারজনকে টাকা দিয়ে ওই অ্যাঙ্করকে অপহরণ করানো হয়েছিল, তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।