মণিপুর নিয়ে কেন কিছু মন্তব্য করছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? এই প্রশ্নই তুলেছিলেন বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি ভাষণের একেবারে শেষে কেন মণিপুর প্রসঙ্গ উঠে এল? কেন প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ বক্তব্যে অল্প সময় ঠাঁই পেল মণিপুর? তা নিয়েও সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে শোনা গেল মণিপুর প্রসঙ্গ। মণিপুরে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে বললেন মোদী।
লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বেলাগাম হিংসা হয়েছে মণিপুরে। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মণিপুর উত্তপ্ত। মা-বোনেদের সম্মানহানি হয়েছে। তবে দেশ মণিপুরের সঙ্গে আছে। ধীরে ধীরে সেখানে শান্তি ফিরছে। আমাদের বৈচিত্রই আমাদের শক্তি। শান্তির মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব। রাজ্য এবং কেন্দ্র মিলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। শান্তির জন্য যাবতীয় চেষ্টা করা হচ্ছে। ”
#WATCH | PM Modi appeals for peace in Manipur from the ramparts of the Red Fort on 77th Independence Day
“The country stands with the people of Manipur…Resolution can be found through peace only. The Centre and the State government is making all efforts to find resolution.” pic.twitter.com/TbQr0iopY6
— ANI (@ANI) August 15, 2023
আরও পড়ুন: Gujarat: সরকারি অনুষ্ঠানে গুজরাটের মন্ত্রীর মদ্যপান, দিলেন আজব সাফাই
স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দ্বিতীয় জমানার শেষ ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই ভাষণে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় যেমন তিনি ‘আমিত্ব’ ফলিয়েছেন তেমনই দিশাহীন ভাষণে বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে গিয়ে ‘পরিবারবাদ’, ‘দুর্নীতি’ আর ‘তোষণ’-কে হাতিয়ার করেছেন। চাপের মুখে মণিপুরের জাতি হিংসার প্রসঙ্গ বাধ্য হয়ে টেনেছেন বটে কিন্তু ওই জঘন্য ঘটনায় কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার কথা মানতে চাননি।
মণিপুর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। মঙ্গলবার বহরমপুরে দলীয় কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেন অধীর। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অধীর বলেন, মণিপুর দু’ভাগে বিভাজন হয়ে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর উচিত ছিল মণিপুরে গিয়ে শান্তির বার্তা দেওয়া। সমস্ত দলকে মণিপুর গিয়ে শান্তির বার্তা দিতে আহ্বান জানিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু সে কথায় কর্ণপাত করেন মোদী সরকার বলে দাবি করেন অধীর।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এরই মাঝে গত জুলাই মাসে ভাইরাল হয়েছিল মণিপুর বিভীষিকার এক অকল্পনীয় ভিডিয়ো। দেখা গিয়েছিল, দুই মহিলাকে নগ্ন করিয়ে ঘোরানো হচ্ছে রাস্তায়। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অভিযোগ, তাঁদের গণধর্ষণ করা হয়েছিল। সেই ঘটনা ঘটেছিল গত ৪ মে। ঘটনার ৭৭ দিন পর এই মামলায় প্রথম গ্রেফতারি হয়। আর সেই একই দিনে, অর্থাৎ, ৪ মে মণিপুরের রাজধানীতে দুই যুবতীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। সেই মামলায় প্রায় ৮০ দিন পরে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল কয়েকজন অভিযুক্তকে।
আরও পড়ুন: Anju in Pakistan: কেক কেটে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস পালন অঞ্জুর, বিয়ে করেই ভুললেন মাতৃভূমিকে!