কানাডার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে কড়া পদক্ষেপ ভারতের। এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হল ভারতের পক্ষ থেকে। বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা করা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরেই ভারত ও কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে।গত ১৯ জুন কানাডায় গুলি করে খুন করা হয়েছিল খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে। তার খুনের ঘটনার পর সোমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছিলেন, খলিস্তানি ওই নেতার খুনের ঘটনায় ভারতীয়দের যোগ রয়েছে বলেই তদন্তকারীদের ধারণা। এই ঘটনার পর থেকে কানাডা ও ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এরপরই ভারতীয় এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা। ট্রুডোর মন্তব্যের পর কানাডার এক শীর্ষ কূটনীতিককে পাঁচ দিনের মধ্যে দিল্লি ছাড়ার নির্দেশ দেয় মোদী সরকার।
আরও পড়ুন: Nipah Virus: কেরলে আক্রান্ত বেড়ে ছয়, সাময়িক বন্ধ স্কুল-অফিস, কর্নাটক এবং রাজস্থানেও সতর্কতা জারি
Due to operation reasons, with immediate effect i.e. 21 September 2023, Indian visa services in Canada have been suspended till further notice: BLS International pic.twitter.com/OYLKBIpjWn
— ANI (@ANI) September 21, 2023
দুই দেশই নিজেদের নাগরিকদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে। এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেই বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। পরের দিনই জানা যায়, আপাতত কানাডার নাগরিকদের ভারতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চলতি মাসেই স্বাধীন ও সার্বভৌম খলিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে কানাডার খলিস্তানপন্থী শিখ গোষ্ঠী ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে) অন্টারিও-সহ কয়েকটি এলাকায় জমায়েত এবং গণভোটের ডাক দিয়েছে। ভারতে নিষিদ্ধ এবং খলিস্তানপন্থী সংগঠন সাম্প্রতিক কালে কানাডার কয়েকটি ভারতীয় দূতাবাসে বিক্ষোভও দেখিয়েছে। বুধবার কানাডায় বসবাসকারী এসএফজে নেতা গুরপতবন্ত সিংহ পান্নুন অবিলম্বে ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দুদের কানাডা ছাড়ার জন্য হুমকি দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়েছে। ২০১৯ সালে এসএফজে-কে ‘আন’ল’ফুল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট’ (ইউএপিএ) আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। সংগঠনের প্রধান গুরুপতবন্তের বিরুদ্ধে ‘রেড কর্নার নোটিস’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে নয়াদিল্লির তরফে আবেদনও জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদন ইন্টারপোল খারিজ করে দেয়। এর পরে কানাডা়য় খোলাখুলি ভারত বিরোধী প্রচার চালাচ্ছেন ওই শিখ কট্টরপন্থী নেতা।
আরও পড়ুন: Constitution New Copy: সংবিধান থেকে উধাও ‘সেকুলার’ ও ‘সোশালিস্ট’, কেন্দ্রের বিরোধিতায় সরব কংগ্রেস