সম্প্রতি ভারতীয় বায়ু সেনা (IndianAir Force) এবং Uber-এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্য বায়ু সেনাকর্মী এবং তাঁদের পরিবারের অফিশিয়াল ভ্রমণ এবং যাতায়াতের সুবিধা দেওয়া। যদিও এই চুক্তি দেশের সাধারণ মানুষ এবং বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি নিয়ে আরও জানতে ইচ্ছুক হচ্ছেন আমজনতা।
অনেকের মতে এই চুক্তির ফলে একাধিক সুবিধা মিলবে। বিশেষত থার্ড পার্টি অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য ফাঁস, লোকেশন ট্র্যাকিং সহ নানান গোপনীয় তথ্য ফাঁস হওয়া এই চুক্তির মাধ্যমে রুখে দেওয়া সম্ভব হবে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা এর বেশ কিছু অসুবিধাও খুঁজে বের করেছেন। এই চুক্তি নিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করে লেফটেন্যান্ট জেনারেল কানওয়ালজিৎ সিং ধিলোন সহ একাধিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তি স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার আগে আরও একবার গুরুত্ব সহকারে পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে।
দেশের আরও এক প্রাক্তন সেনাকর্মী ও প্রযুক্তিবিদ পবিত্রান রাজনও একই কথা বলেছেন। অত্যাধুনিক দেশীয় প্রযুক্তি ছাড়া সকল তথ্য গোপন রাখা কার্যত অসম্ভব। Uber-এর সঙ্গে চুক্তি হয়ে গেলে তাঁরা কতটা গুরুত্ব সহকারে এই দায়িত্ব পালন করতে পারবে সেই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। এটি কোনও সামান্য বিষয় নয়। এর ফলে সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস হওয়ার সুযোগ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
যদিও ভারতীয় বায়ু সেনার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দাবি, শুধুমাত্র এয়ারফোর্স কর্মীদের এবং তাঁদের পরিবারকে ভালো পরিষেবা দেওয়াই এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য। তাঁরা যাতে কোনও অ
বায়ুসেনা ও Uber-এর চুক্তি: কী বলা হচ্ছে?
সম্প্রতি ভারতীয় বায়ুসেনা এবং অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সংস্থা Uber-এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্য হলো বায়ুসেনাকর্মী এবং তাঁদের পরিবারের অফিশিয়াল ভ্রমণ এবং যাতায়াতের ক্ষেত্রে আরামদায়ক পরিষেবা প্রদান করা।
চুক্তির সুবিধাসমূহ
বায়ুসেনা এই চুক্তির মাধ্যমে তাদের কর্মীদের জন্য সুবিধা প্রদান করতে চায়, যাতে তাঁরা যাতায়াতে কোনো ঝামেলা ছাড়াই দ্রুত এবং নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারেন। এই চুক্তির ফলে বায়ুসেনা কর্মীদের Uber-এর বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হবে, যা সাধারণ যাত্রীদের জন্য উপলব্ধ নয়।
গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
অনেক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং প্রাক্তন সেনাকর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল কানওয়ালজিৎ সিং ধিলোনের মতে, এই চুক্তির মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। Uber-এর মতো বিদেশি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করার ফলে নিরাপত্তা লঙ্ঘন এবং লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতামত
প্রাক্তন সেনাকর্মী ও প্রযুক্তিবিদ পবিত্রান রাজনও বলেন, Uber-এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীর কর্মীদের চলাফেরা সম্পর্কে তথ্য সহজেই ট্র্যাক করা সম্ভব হতে পারে। দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার না করলে সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য সুরক্ষিত রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক এবং প্রভাব
বায়ুসেনার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে সেনাকর্মীদের ভ্রমণ সহজতর করা হবে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক বিতর্কের কারণে বায়ুসেনার তরফ থেকে পোস্টটি পরবর্তীতে মুছে ফেলা হয়েছে।