সোমবারের পর মঙ্গলবার আরও দুর্বল হল টাকা। সোমবার এক ডলারের তুলনায় টাকার দাম ছিল ৮৪.১১। মঙ্গলবার আরও ২ পয়সা কমে ডলারের তুলনায় টাকার মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৪.১৩। টাকার দামের এই পতনকে সর্বকালীন পতন হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় টাকার এই বেহাল অবস্থার পিছনে বিদেশি বিনিয়োগ তুলে নেওয়া ও আন্তর্জাতিক জটিলতাকেই দায়ী করা হচ্ছে।
বাজারের ক্রমাগত অস্থিরতার কারণে টাকার দর আরও নিম্নগতি হবে বলে বিদেশি মুদ্রা বিশেষজ্ঞদের একাংশ দাবি তুলেছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক বাজারে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে সেটিও টাকার দরে পতনের জন্য দায়ী বলে মনে করছেন অনেকেই। ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকে বিদেশি পুঁজি বেরিয়ে যাওয়ার কারণে ভারতীয় মুদ্রার এই পতন হওয়ার আরও একটি সম্ভাব্য কারণ বলে মনে করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞেরা।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শেয়ার বাজার রেকর্ড ছোঁয়ার পর এখনও পর্যন্ত ৮ শতাংশ পড়েছে বাজার। দেশিয় সংস্থাগুলির লাগাতার পতনের জেরে আস্থা হারাচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। শেয়ার বাজারের পাশাপাশি যার প্রভাব পড়ছে মুদ্রা বাজারেও। এদিকে বিদেশি লগ্নিকারীরা ডলার কেনায় আগ্রহী হওয়ায় দাম বাড়ছে ডলারের।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, বিদেশি লগ্নিকারীরা ক্রমাগত ভারতীয় শেয়ার বিক্রি করে ডলার কিনে চলেছেন। প্রায় ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার ভারতীয় শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। বিদেশি লগ্নিকারীরা ডলার কিনতে শুরু করায় আমেরিকান মুদ্রাটির চাহিদা বেড়েছে। যা একে দামি করে তুলছে। আর ডলারের দামের সূচক চড়তে থাকায় বিশ্ব জুড়েই অন্যান্য মুদ্রার দর নিম্নমুখী হয়েছে
তবে ডলার দামি হওয়ায় অপরিশোধিত তেলের দাম খুব একটা বাড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় হলে বাজারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া যায় তা খতিয়ে দেখছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।